হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে না জড়াতে ইসরায়েলকে অনুরোধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েল-লেবাননের সীমান্তে নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে সংঘাত। লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা বাড়ছে।
লেবাননে হিজবুল্লাহর ওপর আক্রমণ শুরু করার জন্য ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থা গুলো নেতা নিয়াহুকে চাপ দিয়ে আসছে। কিন্তু দুই-ফ্রন্ট যুদ্ধ শুরু হলে বড় আঞ্চলিক সংঘাতের আশংকা করছে যুক্তরাষ্ট্র, ফলে তারা এর তীব্র বিরোধিতার করে যাচ্ছে।
তেল আবিব সফরে বাইডেন এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ মিলিশিয়াদের ওপর হামলার ঝুঁকি না নেওয়ার আহ্বান জানান। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও সংঘাতের বিস্তার রোধে নেতানিয়াহু অনুরোধ জানান। নেতানিয়াহু শেষ পর্যন্ত তাদের অনুরোধে সন্মত হন।
৮ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় পাল্টা আঘাত করার পর থেকে, লেবানন-ভিত্তিক হিজবুল্লাহ ইহুদি বসতিগুলোতে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে কিরিয়াত শমোনা শহরসহ উত্তর সীমান্ত থেকে ইসরায়েলিদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
হিজবুল্লাহর আক্রমণের হুমকির কারণে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র মজুদাগারে হামলার জন্য চাপ দিয়ে আসছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টদের একটি অংশ।
একজন সিনিয়র ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আমাদের নজর গাজায় নিবদ্ধ রাখতে চাই এবং সেখানে কাজ শেষ করতে চাই। কিন্তু আমরা উত্তর ইসরায়েলি জনগণের কাছ থেকে অনেক চাপ পাচ্ছি, লোকেরা বলছে- আমরা উত্তর সীমান্তে থাকতে পারি না, হিজবুল্লাহ আমাদের থেকে ১০০ মিটারেরও দূরত্বে বসে আছে এবং তারা কয়েক মিনিটের মধ্যে বর্ডার লাইন অতিক্রম করে আমাদের হত্যা করতে পারে।
পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয় মার্কিন কর্মকর্তারা আরব দেশগুলোর মধ্যস্থতায় হিজবুল্লাহ এবং ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেছেন এবং ইসরায়েলকে পরামর্শ দিয়েছেন লেবানন সীমান্তে এবং গাজার দক্ষিণে তাদের কর্মকাণ্ড যাতে হিজবুল্লাহকে যুদ্ধে প্রবেশ করতে সহজ অজুহাত উপহার না দেয় সেদিকে খেয়াল রাখতে।
একুশে সংবাদ/আ.ভ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :