গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। পাল্টা জবাবে গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। পাওয়া গেছে ‘সীমিত পরিসরে’ স্থল অভিযানের খবরও।
সম্প্রতি ফসফরাস বোমার পর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এবার ‘নতুন মারণাস্ত্র’ ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে। গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
গাজা শহরের আল শিফা হাসপাতালের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেছেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইল এর আগে যত হামলা চালিয়েছে, সেগুলোতে আহত ব্যক্তিদের আঘাতের ধরনের সঙ্গে এবারের আঘাতের মিল নেই। ইসরাইলের হামলায় আহত ব্যক্তিদের শরীরে এমন আঘাতের চিহ্ন আগে কখনো দেখা যায়নি বলেও দাবি তার।
আল-জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সালমিয়া আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, গাজায় ইসরাইল ‘নতুন মারণাস্ত্র’ ব্যবহার করার কারণে আঘাতের ধরন বদলে গেছে।
সাদা ফসফরাসকে একটি ‘আগ্নেয়’ অস্ত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, বেসামরিকদের মধ্যে থাকা সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ। সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্যানুযায়ী, সাদা ফসফরাস সমৃদ্ধ অস্ত্র নিষিদ্ধ নয়, তবে বেসামরিক এলাকায় এর ব্যবহার যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :