জলবায়ু সংকটে ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি ও দেশটির জলবায়ুবিষয়ক প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জন কেরির মধ্যে এক বৈঠকে এ বিষয়ে তারা ঐক্যমত পোষণ করেন।
উভয় দূত দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছে।
দুই বিশেষ দূত জাতিসংঘর জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন কপসহ দ্বিপাক্ষিক ও বৈশ্বিক জলবায়ু প্ল্যাটফর্মে বৃহত্তর বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের বিশেষ দূত সাবের চৌধুরী জলবায়ু ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি ও নেতৃত্ব পুনর্ব্যক্ত করে বলেন বৈশ্বিক জলবায়ু প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়নে ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা অব্যাহত রাখবে।
মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের জলবায়ুর বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে কেরিকে জানান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কেরি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থায়নের বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করছে।
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে কেরি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তার জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করার বিষয়ে অংশীদার হতে ইচ্ছুক।
চৌধুরী ও কেরি উভয়ই আসন্ন জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন কপ-২৮ সফল করার লক্ষে সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে জোরদারের মাধ্যমে ঐকমত্য গড়ে তোলা এবং বৈশ্বিক সংহতির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীতার ওপর জোর দেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সাবের হোসেন চৌধুরী ওয়াশিংটন, ডিসির সিনেট হার্ট বিল্ডিংয়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ক্রম হ্রাসকরণে অর্থায়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কিত বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত এই সংক্রান্ত কমিটি সভায় সভাপতিত্ব করেন।
মার্কিন সিনেটর এড মার্কি ও কানাডিয়ান সিনেটর রোজা গালভেজসহ উরুগুয়ে, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, জাম্বিয়া ও উগান্ডার নেতৃস্থানীয় সংসদ সদস্যরা ওই সভায় অংশ নেন।
একুশে সংবাদ/আ.ভ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :