মিয়ানমারের সামরিক শাসকের বৈদেশিক রাজস্বের প্রধান উৎসে প্রথম সরাসরি আঘাত করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জান্তানিয়ন্ত্রিত তেল-গ্যাস কোম্পানি মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের (এমওজিই) ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ থেকে গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানায়। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্স জানায়, মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় তেল ও গ্যাস এন্টারপ্রাইজের বেশ কিছু আর্থিক পরিষেবা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। এসব পরিষেবার মধ্যে আছে ঋণ, অ্যাকাউন্ট, বিমা, বিনিয়োগ ও অন্যান্য পরিষেবা।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস তেল-গ্যাস। জান্তা সরকারের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ থেকে ছয় মাসে শুধু এই খাত থেকেই ১৭২ কোটি ডলার আয় করেছে তারা।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ওয়াশিংটন মিয়ানমারের এই এন্টারপ্রাইজকে বিশেষভাবে মনোনীত নাগরিক কিংবা প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে বাদ দেবে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকেও বের করে দেওয়া হবে মগেকে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এর বাণিজ্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে এর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে।
মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিস ফর মিয়ানমারের মুখপাত্র ইয়াদানার মাউং যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, `মগের বিরুদ্ধে মার্কিন আর্থিক পরিষেবা বন্ধের ঘোষণা তেল ও গ্যাস খাত থেকে জান্তার তহবিলে বিশাল অর্থের প্রবাহকে ব্যাহত করবে। জান্তা সরকারের বৈদেশিক অর্থ ও অস্ত্রের প্রধান উৎস মগের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখা উচিত।` এসময় তিনি মগের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানান।
একুশে সনবাদ/ম.ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :