ইসরায়েলি বোমায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে গাজার আল-শিফা হাসপাতাল। শুক্রবারের ওই হামলার পরে বিকল হয়ে গেছে জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা। এই পরিস্থিতিতে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৯টি শিশু কার্যত মৃত্যুর মুখে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য দফতর।
পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধম্যে প্রকাশিত খবর, ইতিমধ্যেই ইনকিউবেটর বিদ্যুতের অভাবে অন্তত একটি সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সময়মতো অস্ত্রোপচার এবং কেমোথেরাপি (ক্যানসারে আক্রান্তদের) সম্ভব না-হওয়ায় আরও কয়েকটি শিশুও তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে।
বস্তুত, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরেই গাজা ভূখণ্ডে বিদুৎ সরবরাহ ছিন্ন করেছিল ইসরায়েলি সেনারা। সেই পরিস্থিতিতে জেনারেটরের সাহায্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা চালানো হচ্ছিল। কিন্তু ডিজেলের মজুত শেষ হতে বসায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা ক্রমশ সীমিত হয়ে আসছিল গাজার হাসপাতালগুলোতে। ফলে ইনকিউবেটরে থাকা শিশু এবং আইসিইউতে চিকিৎসাধীনদের বড় অংশের মৃত্যুর আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল দেশটির স্বাস্থ্য দফতর। আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনার হামলা সেই আশঙ্কাকেই সত্যি করতে চলেছে বলে অভিযোগ।
যদিও এর মধ্যেও শনিবার দফায় দফায় গাজা স্থল এবং আকাশপথে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। শুক্রবার রাতে আল-রানতিসি শিশু হাসপাতালেও ইসরায়েলি সেনার ট্যাঙ্কের গোলা আছড়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আমেরিকা, ফ্রান্স-সহ নানা দেশ যুদ্ধ বিরতির আবেদন জানালেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তা খারিজ করেছেন।
গত ৩৬ দিনের ইসরায়েলি হানায় গাজার ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তার অর্ধেকের বেশি মহিলা, শিশু! আহতদের সংখ্যা তার প্রায় দ্বিগুণ। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে গাজায় অ্যাংলিকান গির্জার মালিকানাধীন আল–আহলি আল–আরবি হাসপাতালে ইসরায়েলি বোমায় বহু শিশু-সহ কয়েকশো রোগী নিহত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :