গাজায় ইসরায়েলের হামলা নিয়ে সুর চড়াল আরব নেতারা। সঙ্গে রইল ইরান এবং তুরস্কও। সৌদি আরবের উদ্যোগে আরব দেশগুলির সংগঠন আরব লিগ এবং অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)-এর জরুরি বৈঠক বসেছিল শনিবার। সেই বৈঠকেই ইজরায়েলের নাম-না করে বলা হয়, চলতি সংঘাতের জন্য দায়ী ‘দখলদারির মানসিকতা’।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের আল-শিফা হাসপাতালে তারা হামলা চালায়নি বলে দাবি করল ইসরায়েলি সেনা। সেনার মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, মিথ্যা কিছু খবর ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে যে আমরা আল-শিফা হাসপাতাল ঘিরে ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছি। এগুলি সবই মিথ্যা। তারা কেবল ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে লড়াই করছেন বলে দাবি করেছেন হাগারি।
সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পর এই প্রথম দেশটিতে সফর করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি। বৈঠক শেষে ইরান সৌদিকে অনুরোধ জানায় যে, ইসরায়েলে গ্যাস এবং তেল সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়ে আরব দেশগুলিকে একজোট করার চেষ্টা করুক তারা।
বৈঠকের পর যে যৌথ বিবৃতি পেশ করা হয়, সেখানে আরব দেশগুলির পক্ষে বলা হয়েছে, গাজ়ায় শান্তি এবং সুস্থিতি প্রতিষ্ঠিত করতে হলে ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এবং গাজায় দখলদারি, অধিগ্রহণ এবং বসতি তৈরি করা বন্ধ করতে হবে। কোনও দেশের নাম না-করা হলেও এই বিবৃতিতে যে ইজরায়েলকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :