ভারত সব সময়ই বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও জি২০র মুখ্য সমন্বয়ক হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে ‘বাংলাদেশ : ফ্রম বাস্কেট কেইস টু এশিয়ান টাইগার’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে মিশনের বঙ্গবন্ধু হলে বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। স্যামুয়েল রিচার্ডের লেখা ‘বাংলাদেশ : ফ্রম বাস্কেট কেইস টু এশিয়ান টাইগার’ বইটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন খাতে অর্জিত বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য ও উন্নয়নের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বইটিকে উপজীব্য করে এক বিশেষ প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়। সেখানে ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের চলমান অগ্রযাত্রার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি মানে ভারতের উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি এবং ভারতের উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি মানে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি।’
শ্রিংলা আশা করেন, বাংলাদেশ ও ভারত পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে অনন্য এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য গবেষণা ও তথ্য ব্যবস্থা (রিস)-এর অধ্যাপক ড. প্রবীর দে আলোচনায় অংশ নিয়ে কানেক্টিভিটিকে (সংযোগ) শক্তিশালী বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অন্যতম প্রধান উপাদান হিসেবে উল্লেখ করেন। এ সময় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট, রোহতকের পরিচালক অধ্যাপক ধীরাজ শর্মা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের উন্নয়ন সাফল্যের পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বকে মূল অনুঘটক হিসেবে অভিহিত করেন।
সমাপনী বক্তব্যে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশের অগ্রগতিশীল অর্থনীতি, শিক্ষা, তথ্য-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ঈর্ষণীয় সাফল্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের একটি উল্লেখযোগ্য অংশীদার হওয়ায় ভারত সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
হাইকমিশনের মিনিস্টার (কন্স্যুলার) সেলিম মো. জাহাঙ্গীর অনুষ্ঠান সঞ্চালনা এবং বইটির ওপর সংক্ষেপে আলোকপাত করেন। ভারতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, গণ্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক, মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :