গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের মুখে এবার দক্ষিণাঞ্চলের রাফা শহরের দিকে ছুটছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে কেউ যাচ্ছে গাড়ি করে, কেউ যাচ্ছে ঘোড়ার গাড়িতে, কেউবা আবার পায়ে হেঁটেই যাচ্ছেন। তবে ইসরায়েলের হামলা যতই তীব্র হোক গাজা ছাড়তে চান না ফিলিস্তিনিরা।
সাত দিনের যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় আবারও পুরোদমে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তেল আবিবের স্থল অভিযান গাজার উত্তরাঞ্চল পেরিয়ে প্রবেশ করেছে দক্ষিণাঞ্চলে।
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের শুরুর দিকে গাজার উত্তরাঞ্চল খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েল। তখন বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছিল গাজার দক্ষিণাঞ্চলে। এবার দক্ষিণাঞ্চলের কিছু অংশ খালি করার নির্দেশ দিয়েছে তেল আবিব। এ অবস্থায় রাফা শহরের দিকে ছুটছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা।
বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নাবিল আল-গান্দুর বলেন, `আমরা জাইতুনে ছিলাম, সেখানে গোলাবর্ষণ হয়েছিল। আমরা শাতি শরণার্থী শিবিরে গেলাম, সেখানেও হামলা হয়। এর পর হামাদ টাউনে এসেও হামলার শিকার হই আমরা। প্রকৃত অর্থে, গাজায় কোনো নিরাপদ এলাকা নেই। এর পরও পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এ ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই।`
ইসরায়েলের হামলা যতই তীব্র হোক গাজা ছাড়তে চান না অনেক ফিলিস্তিনি। ধ্বংসস্তুপ আকড়ে ধরেই বেঁচে থাকতে চান তারা।
বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি মাহরুস আল গোগো বলেন, `গেল রাতে, খান ইউনিসে আমাদের ঘুম হয়নি। সারা রাত হামলা হয়েছে। আমরা জানি না কোথায় যেতে হবে। কেউ বলে পূর্বে যেতে, কেউ বলে পশ্চিমে যেতে। আবার কেউ বলে রাফায় যেতে। তবে আমরা গাজা ছাড়ব না। ফিলিস্তিনের ভেতরেই থাকব।`
গাজায় চলমান সংঘাতের অবসান চায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। যুদ্ধ শেষে নিজ বাড়িতে ফিরতে চায় তারা। জাতিসংঘ বলছে, এ পর্যন্ত ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় বাস্তুচ্যুত ১৯ লাখ ফিলিস্তিনি, যা মোট জনসংখ্যার ৮০ ভাগ।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :