ইসরায়েলের অব্যাহত গোলাবর্ষণে তীব্র তীব্রতর হচ্ছে গাজার খাদ্য সংকট। সেখানকার অর্ধেক বাসিন্দা অনাহারে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। ভূখণ্ডটির প্রতি ১০ জনে নয় জনই প্রতিদিন খাবার পায় না।
যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর পর গাজায় তীব্র হয়েছে ইসরায়েলের আগ্রাসন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আনা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। একে বিপর্যয়কর ও অসম্মানজনক বলে নিন্দা জানিয়েছে তারা। মার্কিন ভেটোর নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। একইসঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদ বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার জানায়, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত ৪৮ হাজার ৭৮০ জন।
রাতভর মধ্য গাজার আল-জাওয়াইদা ও নুসাইরাত, দক্ষিণে রাফাহ ও খান ইউনিস এবং উত্তরে গাজা শহরে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
হামাসের সুড়ঙ্গ রয়েছে অভিযোগ তুলে বুধবার থেকে খান ইউনিসে হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, হামাস নির্মূলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লড়াই চালাচ্ছে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক থেকে ছোড়া গোলাবর্ষণের পর থেকে হাসপাতালে বেড়েছে হামলার শিকার মানুষের সংখ্যা।
গেল এক সপ্তাহে বিভিন্ন স্কুল ও হাসপাতালকে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। হামাস কর্তৃপক্ষের বরাতে আল-জাজিরা বলছে, একদিনে মধ্য ও দক্ষিণ গাজার হাসপাতালে ১৩৩ মরদেহ আনা হয়েছে।
গাজায় হামাসের সঙ্গে সংঘাতের মধ্যে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এ পর্যন্ত পশ্চিম তীরে আড়াইশ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র লড়াই হয়েছে।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :