আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, লিবিয়া উপকূলে একটি ছোট জাহাজডুবির ঘটনায় ৬১ জনেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে বলে তারা ধারণা করছে। জাহাজটিতে প্রায় ৮৬ জন যাত্রী ছিলেন।
জীবিতদের বরাত দিয়ে গতকাল শনিবার জাতিসংঘের সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের জন্য জাহাজটি লিবিয়ার জুওয়ারা শহর থেকে রওনা হয়। উচ্চ ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে যায় এবং শিশুসহ ৬১ জন অভিবাসী নিখোঁজ হন। তাদের মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করা অভিবাসীদের জন্য লিবিয়া অন্যতম প্রধান প্রস্থানকেন্দ্র। আইওএম-এর হিসাব অনুযায়ী, শুধু এ বছরই দুই হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ সাগর পারাপারের চেষ্টা করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সর্বশেষ ঘটনায় নিহতদের বেশির ভাগই নাইজেরিয়া, গাম্বিয়া এবং আফ্রিকার অন্যান্য দেশের নাগরিক।
খবর আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়— রোববার স্থানীয় সময় ভোরে এ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে আইওএমের লিবিয়া কার্যালয় জানিয়েছে, নৌকাটিতে ৮৫ জনের মতো অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলে
বেঁচে যাওয়া ২৫ জনকে লিবিয়ার একটি ডিটেনশন সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তাদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
এক্সে (সাবেক টুইটার) আইওএমের এক মুখপাত্র এ বছরের মৃত্যুর সংখ্যাকে ‘নাটকীয়’ বলে অভিহিত করেছেন। গত জুনে গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলে একটি মাছ ধরার নৌকা ডুবে অন্তত ৭৮ জন নিহত এবং আরো ১০০ জনকে উদ্ধার করা হয়।
দ্য সানের খবরে বলা হয়েছে, সর্বশেষ দুর্ঘটনাটি এমন সময় ঘটল, যখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইউরোপে অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন।
রোমে ইতালির রক্ষণশীল দলের সঙ্গে বৈঠকের সময় সুনাক বলেছেন, এ সমস্যা মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক আইনে পরিবর্তন প্রয়োজন। কেননা ‘শত্রুরা’ অভিবাসনকে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করে মানুষকে ইউরোপের উপকূলে ঠেলে দিয়ে সমাজকে অস্থিতিশীল করতে পারে।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :