এক যুগান্তকারী রায়ে জামিন পেলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান এবং দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। পিটিআইয়ের এই দুই শীর্ষ নেতার প্রত্যেককে ১০ লাখ রুপির জামানত জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। খবর দ্য ডন।
আজ শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিচারপতি সরদার তারিক মাসুদের নেতৃত্বে এবং বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ এবং সৈয়দ মনসুর আলী শাহের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ পিটিআইয়ের পিটিশনের শুনানির পর এই যুগান্তকারী বায় দেয়।
চলতি বছর ২৩ অক্টোবর ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশিকে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনে দায়ের করা সাইফার মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে তাদের দুজনকে অভিযুক্ত করা হয়।
সিআরপিসি ২৬৫-ডি-এর আওতায় এই দুই নেতা মামলা বন্ধের আবেদনের পরই এই দুই পিটিআই নেতাকে অভিযুক্ত করা হয়।
এর আগে, চলতি বছরের আগস্টে তোষাখানা দুর্নীতির মামলায় ক্রিকেটার থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে আসা ইমরান খানকে তিন বছরের সাজা দেয়া হয়। পরে অবশ্য সাজার রায় উল্টে গেলেও তাকে রাষ্ট্রীয় হেফাজতে রাখা হয়। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগের মামলা করা হয়।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের প্রমাণ হিসেবে একটি তারবার্তা ফাঁস করতে চেয়েছিলেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বলছে, ওই তারবার্তার মাধ্যমে ইমরান প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ইমরানের ওই দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
ইমরান খানের আইনজীবীরা বলছেন, এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের মক্কেলের সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :