গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যেই ইরাক, ইরান, হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ছে ইসরায়েল ও আমেরিকার।
এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় ধরনের আঞ্চলিক সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনাকাঙ্ক্ষিত এ উত্তেজনা মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য।
৭ অক্টোবর-২০২৩ থেকে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। চলমান যুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ফিলিস্তিনিদের হতাহতের সংখ্যা গোটা মধ্যপ্রাচ্যেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। একে একে চড়ছে উত্তেজনার পারদ।
ভারত মহাসাগর থেকে লোহিত সাগর ও ইরাক, সিরিয়া, লেবানন পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে।
গত সোমবার সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় ইরানের এক শীর্ষ জেনারেল নিহতের ঘটনা এ আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ইসরায়েলের হাতে ইরানি সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনাকে ‘বিশাল ক্ষতি’ আখ্যা দিয়ে এর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইরান।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ। শুরুতে সীমান্ত এলাকায় হামলা সীমিত থাকলেও সম্প্রতি লেবাননের ভেতরে হিজবুল্লাহর অবস্থানে হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল।
অন্যদিকে লোহিত সাগরে ইসরায়েল ও এর পশ্চিমা মিত্রদের হুমকির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।
ভূরাজনৈতিক এই অস্থিতিশীলতা এখন ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। গত শনিবার ভারত মহাসাগরে একটি রাসায়নিকবাহী জাহাজে ড্রোন হামলা হয়। আমেরিকার প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, ইরানি ড্রোন জাহাজটিতে আঘাত হানে। তবে এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ইরান।
২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জো বাইডেন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাদের ওপর ক্রমাগত হামলায় বাড়ছে বাইডেন প্রশাসনের যুদ্ধনীতির সমালোচনা। আর এতেই কমছে বাইডেনের জনপ্রিয়তা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :