আরও একটি বছরকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় বিশ্ব। দেশে দেশে চলছে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। তবে এর উল্টোচিত্র গাজায়। ইসরায়েলি হামলায় সব হারানো গাজাবাসীর কাছে নতুন বছরের আনন্দ বলে কিছু নেই। ফিলিস্তিনিদের দুর্দিনে সংহতি জানিয়ে এবছর নববর্ষের সব আয়োজন নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর শারজাহ।
দুয়ারে নতুন বছর। পুরনোকে বিদায় জানিয়ে পুরোবিশ্ব ব্যস্ত আরো একটি বছরকে বরণ করতে। ইউরোপ-আমেরিকায় দেশে দেশে নববর্ষ উদযাপন ঘিরে পথঘাট ও ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সাজানো হচ্ছে ঝলমলে আলোয়।
তবে এর ঠিক উল্টোচিত্র ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত গাজায়। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসীর কাছে নতুন বছর বলতে কিছু্ নেই। আছে শুধু বেঁচে থাকার লড়াই ও আগ্রাসন থেকে মুক্তির তীব্র আকাঙক্ষা। জীবন বাঁচানোয় যেখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সেখানে নতুন বছর বরণ বিলাসিতা।
এই দুর্দিনে ফিলিস্তিনিদের অনুভূতিকে সম্মান জানিয়ে নববর্ষের উদযাপন নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান। এবছর নতুন বছর বরণে দেশটিতে হচ্ছেনা কোন আয়োজন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে একই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ শহরেও। সেখানেও নতুন বছর বরণ উপলক্ষ্যে হবেনা আতশবাজি কিংবা কোন ধরনের উদযাপন।
অক্টোবরের শুরু থেকে গাজায় চলমান যুদ্ধে ২১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু। মৃত্যুকূপে পরিণত গাজার বিভিন্ন জায়গায় এখন গণকবরের ছড়াছড়ি। সব জায়গায় সমানতালে হামলা চলায় গাজাবাসীর কাছে নিরাপদ আশ্রয় বলে আর কিছু নেই।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :