দক্ষিণ-পশ্চিম রাশিয়ার সীমান্তের কাছে বেলগোরোডে ইউক্রেনের ভয়াবহ বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আরও শতাধিক আহত হয়েছেন। দেশটির আঞ্চলিক গভর্নর বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সবচেয়ে মারাত্মক এ হামলায় নিহতদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনের একটি নিরাপত্তা সূত্র নিশ্চিত করেছে, শনিবারের (৩০ ডিসেম্বর) অভিযানে শুধুমাত্র সামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় ৩৯ জন নিহত হওয়ার পর এই হামলা চালানো হলো।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সূত্র বিবিসিকে বলেছে, ‘ইউক্রেনীয় শহর এবং বেসামরিকদের ওপর রাশিয়ার সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে’ রাশিয়ান লক্ষ্যবস্তুতে ৭০টিরও বেশি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলার বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তার মুখপাত্র।
শনিবার রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) বৈঠকে প্রাণঘাতী এই হামলার বিষয়ে আলোচনার জন্য অনুরোধ করেছে। বৈঠকের সময় জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া ইউক্রেনকে ‘একটি বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত, নির্বিচারে আক্রমণ’ চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেন।
তবে তার মন্তব্য ইউক্রেনের মিত্ররা প্রত্যাখ্যান করেছে। ফরাসি রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউক্রেন জাতিসংঘের আইনের অধীনে নিজেকে রক্ষা করছে, আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ অন্যরা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন সংঘাত শুরু করেছে, রাশিয়ান মৃত্যুর জন্য দায়ভার তাকে নিতে হবে।
জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব, মোহাম্মদ খিয়ারি, উভয় পক্ষের হামলার ‘দ্ব্যর্থহীন নিন্দা’ করে বলেছেন, বেসামরিক নাগরিক এবং বেসামরিক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে হামলা ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন, অগ্রহণযোগ্য এবং এখনই শেষ হওয়া উচিত’।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :