যুক্তরাষ্ট্রের চূড়ান্ত সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে লোহিত সাগরে ফের হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। তবে এ হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেছে মার্কিন নৌবাহিনী। হামলা বন্ধ করার জন্য পশ্চিমা ও তাদের মিত্র দেশগুলোর আহবানকে তোয়াক্কা না করে লোহিত সাগরে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হুতিরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং জাপানসহ ১২টি দেশ বৃহস্পতিবার একটি যৌথ বিবৃতি দেয়। সেখানে বলা হয়, হুতিরা এই হামলা বন্ধ না করলে তাদের অনির্দিষ্ট পরিণাম ভোগ করতে হবে। পরে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তাদের পক্ষ থেকে এটি ছিল তাদের চূড়ান্ত সতর্কবার্তা।
ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশের দখলই এখন ইরান সমর্থিত হুতিদের নিয়ন্ত্রণে। গাজায় হামলার প্রতিবাদে গত ১৯ নভেম্বর থেকে ইসরায়েলের দিকে যাওয়া বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা শুরু করে হুতিরা।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপার জানান, হুতিদের বিস্ফোরক ড্রোনবাহী নৌকাটি লোহিত সাগরের উপকূল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার ভেতরে গিয়ে হামলা চালায়।
ইরানের হুমকি আর হুতি–হিজবুল্লাহর তৎপরতা, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বাড়ছেইইরানের হুমকি আর হুতি–হিজবুল্লাহর তৎপরতা, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বাড়ছেই
মার্কিন নৌবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, জাহাজ চলাচলকারী অঞ্চল থেকে কয়েক মাইল দূরে হামলাটি হয়। সেখানে বাণিজ্যিক জাহাজ ও মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ ছিল। আমরা সবাই এটি বিস্ফোরিত হতে দেখেছি।
যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ১৯ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ২৫টি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। বারবার হামলার ফলে হুতিদের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর চাপ বাড়ছে। এ নিয়ে বাইডেনের প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, আমি আরও সতর্ক বার্তা আশা করব না।
লোহিত সাগরে হুতিদের হামলা রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কয়েকটি দেশ একটি যৌথ বাহিনী গঠন করেছে। যার নাম রাখা হয়েছে—অপারেশন প্রসপারিটি গার্ডিয়ান (ওপিজি)।
হুতিরা বলছে, তারা যুদ্ধ শেষ করার জন্যই লোহিত সাগরে হামলা চালাচ্ছে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলে আসছে যে, তারা যুদ্ধ ছড়িয়ে যাক, তা চায় না।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :