ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোন্না বলেছেন, ‘গাজা ফিলিস্তিনি ভূমি, এর ভবিষ্যত কী হবে, তা নির্ধারণ করা ইসরায়েলের উপর নির্ভর করে না’।
সম্প্রতি ইসরায়েলি দুই উগ্র মন্ত্রী গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের প্রস্তাব ঘোষণার পর, গাজার প্রতি প্যারিসের সমর্থন উল্লেখ করে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তুর্কি গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, ক্যাথরিন কোলোন্না ইসরায়েলি দুই মন্ত্রীর ওই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে বলেন, এই প্রস্তাব ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ যা আমাদেরকে একটি সমাধান থেকে দূরে ঠেলে দেবে’। এ সময় ওই প্রস্তাবকে ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থের বিরুদ্ধে দাবি করে ক্যাথরিন বলেন, ‘আমাদের আন্তর্জাতিক আইনের নীতিতে ফিরে আসতে হবে এবং এটিকে সম্মান করতে হবে।’
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গাজা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড। যেটি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অংশ হতে চায়। আমরা দুই রাষ্ট্রনীতিকে সমর্থন জানাই। যেটি একমাত্র কার্যকরী সমাধান। ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রে গাজা এবং পশ্চিম তীরকে অবশ্যই ফিলিস্তিনের অংশ হতে হবে’।
এর আগে বুধবার (০৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে গাজার বাইরে ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের পক্ষে ইসরায়েলি মন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এবং ইতামার বেন গভিরের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রত্যাখান করে যুক্তরাষ্ট্র।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বিবৃতিতে ওই দুই মন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেন।
তাদের বক্তব্যকে ‘প্রদাহজনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে আখ্যা দিয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ইসরায়েল সরকার বারবার এবং ধারাবাহিকভাবে বলেছে, এ ধরনের বক্তব্য ইসরায়েল সরকারের নীতিকে প্রতিফলিত করে না। তাদের এ ধরনের বক্তব্য অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।
মিলার জোর দিয়ে বলেন, আমরা স্পষ্ট, সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং দ্ব্যর্থহীন ছিলাম যে, গাজা হল ফিলিস্তিনি ভূমি এবং তা ফিলিস্তিনি ভূমিই থাকবে। যা ভবিষ্যতে আর হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না এবং কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসরায়েলকে হুমকি দিতে পারবে না। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের, পার্শ্ববর্তী অঞ্চল এবং বিশ্বের স্বার্থে আমরা এটাই ভবিষ্যতে চাই।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :