AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

হুতি কারা, কেন তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র?


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৭:৪৯ পিএম, ১২ জানুয়ারি, ২০২৪
হুতি কারা, কেন তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র?

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের জেরে পুরো মধ্যপ্রাচ্য উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, যতই দিন যাচ্ছে, পুরো অঞ্চলজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা জোরদার হচ্ছে। এরই মধ্যে সংঘাত ফিলিস্তিনের সীমান্ত পেরিয়েছে।

লোহিত সাগরকে কেন্দ্র করে নতুন করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের ‘প্রতিশোধ’ নিতে গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে লোহিত সাগর ও বাবেল মানদেব প্রণালীতে ইসরায়েলি ও পশ্চিমা দেশগুলোর জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।

এতে বিশ্বের বড় বড় তেল কোম্পানিগুলো তাদের অতীব গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথে সরবরাহ বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে। এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তবে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর পাল্টা হামলা শুরু করেছে লোহিত সাগরে নবগঠিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট।

হুতি কারা-
ইয়েমেনে এক দশক ধরে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ চলছে। এই গৃহযুদ্ধের একটি পক্ষ হুতি, যারা আনসারুল্লাহ নামেও পরিচিত। এখন থেকে বেশ কয়েক বছর আগে ১৯৯০-এর দশকে গোষ্ঠীটির উত্থান। তাদের নেতা হুসেইন আল-হুতি শিয়া ইসলামের জাইদি ধারার অনুসরণে ধর্মীয় পুনর্জাগরণমূলক আন্দোলন শুরু করেন।

জাইদিরা কয়েক শতাব্দী ধরে ইয়েমেন শাসন করলেও ১৯৬২ সালে গৃহযুদ্ধের পর সুন্নিরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। এরপর তারা ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে। সুন্নি মৌলবাদ মোকাবিলা বিশেষ করে সৌদি আরবের পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া ওয়াহাবি মতবাদ মোকাবিলায় আল-হুতি আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলনই ক্রমে সশস্ত্র রূপ নেয়। 

হুতিরা যেভাবে ক্ষমতায়-

১৯৯০ সালে উত্তর ও দক্ষিণ ইয়েমেন একত্রিত হলে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন আলী আবদুল্লাহ সালেহ। তিনি প্রথমদিকে হুতিদের ‍‍`বিলিভিং ইয়ুথ‍‍` সংগঠনকে সমর্থন করতেন। 

তবে আন্দোলনটি ক্রমে জনপ্রিয় ও শাসকবিরোধী হয়ে ওঠায় তা সালেহ‍‍`র মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ২০০৩ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনকে সমর্থন দেন সালেহ। যদিও ইয়েমেনের অধিকাংশ জনগণ ছিল মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। 

মূলত এই সুযোগটি কাজে লাগান আল-হুতি। জনগণের পুঞ্জীভূত ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে তাদের রাস্তায় নামিয়ে আনেন। যার প্রতিক্রিয়ায় সালেহ সরকার প্রথমে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এরপর ইয়েমেনি সেনারা ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে আল-হুতিকে হত্যা করে। কিন্তু এরপরও আন্দোলনটির মৃত্যু হয়নি। হুতিদের সামরিক শাখায় দলে দলে যোগদান করে ইয়েমেনি তরুণরা। 

২০১১ সালে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যে ‍‍`আরব বসন্ত‍‍` ঝড় শুরু হয় তা নাড়িয়ে দেয় ইয়েমেনকেও। হুতিরা দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ সাআদা দখলে নিয়ে সালেহ‍‍`র শাসনের অবসানে লড়াই শুরু করে। 

হুতিরা কি ইয়েমেন নিয়ন্ত্রণ করে- 

২০১১ সালে সালেহ উপ-রাষ্ট্রপতি আবদ-রাব্বু মনসুর হাদির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হন। তবে সেসময় তার সরকারের আর তেমন জনপ্রিয়তা ছিল না। ২০১৪ সালে রাজধানী সানা‍‍`র বিভিন্ন অংশ দখলে নেয় হুতিরা। পরের বছরের শুরুতে তারা রাষ্ট্রপতির বাসভবনও দখল করে।

হাদি সৌদি আরবে পালিয়ে যান। তার অনুরোধে ২০১৫ সালের মার্চে হুতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন ৪১টি দেশের সামরিক জোট। এরপর কয়েক বছর ধরে চলে এই অসম যুদ্ধ। এই যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ হতাহত হয়েছে। দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে দেশটি। 

তবে ইয়েমেন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেলেও দমন করা যায়নি হুতিদের। অবশেষে গত ২০২২ সালে এসে উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। ছয় মাস পর সেই চুক্তি ভেঙে গেলেও তারা আগের মতো আর তুমুল যুদ্ধে জড়ায়নি।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর থেকে হুতিরা ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ জায়গা থেকে তাদের দখল ছেড়ে দিয়েছে। তারা সৌদি আরবের সঙ্গে স্থায়ী চুক্তিতে যেতে চাইছে, যাতে করে যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে ও তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারে।

লোহিত সাগরে হুতি হামলা-

বছরের পর বছর ধরে ফিলিস্তিনিদের হত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন এবং সম্প্রতি পবিত্র আল আকসা মসজিদে হামলা ও অবমাননার জবাবে গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে আকস্মিক অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হওয়ার দাবি করে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। 

হামাসের ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গোষ্ঠীটির নিয়ন্ত্রণে থাকা গাজায় ব্যাপক আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। যা তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা উপত্যকা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ২৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও প্রায় ৬০ হাজার। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১৯ লাখ বাসিন্দা।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বেশিরভাগ আরব দেশ কার্যত চুপ করে রয়েছে। তবে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রতি সমর্থন হিসেবে লোহিত সাগরে ইসরায়েলি ও দেশটির বন্দরগামী জাহাজে হামলার ঘোষণা দেয় ইয়েমেনের হুতিরা। ঘোষণার পরই গত ১৯ নভেম্বর অনেকটা ফিল্মি স্টাইলে হেলিকপ্টার নিয়ে একটি ইসরায়েলি জাহাজ আটক করে ইয়েমেনে নিয়ে যায় গোষ্ঠীটির যোদ্ধারা।

এরপর গত দুই মাস ধরে তারা লোহিত সাগরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। ফলে জাহাজগুলো নিজেদের রুট পরিবর্তন করে দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল পথ বেচে নিতে বাধ্য হচ্ছে।

হুতিদের এই হামলা বন্ধে লোহিত সাগরে একটি সামরিক জোট গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্র দেশগুলোকে তাতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানায়। কিন্তু বেশিরভাগ দেশই সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। হাতেগোনা কয়েকটি দেশ তাতে অংশ নিয়েছে।

সামরিক জোট গঠনের পর হুতি হামলা বন্ধে চলতি সপ্তাহে (১০ জানুয়ারি) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব তোলা হয়। প্রস্তাবটি পাস হলেও পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে ১১টি দেশ পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে ভেটো ক্ষমতাধর রাশিয়া ও চীনসহ চারটি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।

ইয়েমেনে মার্কিন সামরিক জোটের বিমান হামলা-

প্রায় দুই মাস ধরে নিয়মিত হামলা চালালেও প্রথম দিকে হুমকি-ধামকি ছাড়া তেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। গত মাসের শেষ দিকে (৩১ ডিসেম্বর) প্রথম হামলা চালায় তারা। ওই হামলায় হুতির তিনটি নৌকা ডুবে যায়। এতে গোষ্ঠীটির ১০ যোদ্ধা নিহত হয়।

ওই হামলার পর এক যৌথ বিবৃতিতে হুতিদের প্রতি লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা বন্ধের জন্য আহ্বান জানায় মার্কিন জোট। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, হামলা বন্ধ না হলে ‘পরিণাম’ বহন করতে হবে। একে ‘চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি’ও বলেও মন্তব্য করা হয়।

তবে মার্কিন জোটের এমন বড় হামলা ও হুঁশিয়ারিতেও দমে যায়নি হুতিরা। বরং এরপর তারা হামলা আরও জোরদার করে। এমনকি লোহিত সাগরের ৮০ কিলোমিটার ভেতরে জাহাজ চলাচলের প্রধান জলপথে গিয়ে ড্রোনের বিস্ফোরণ ঘটায়।

হুতিদের পক্ষ থেকে সবশেষ ও সবচেয়ে বড় হামলাটি চালানো হয় চলতি সপ্তাহে। গত মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) লোহিত সাগরে প্রায় দুই ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়ে হুতি যোদ্ধারা। তবে সবগুলো ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করে মার্কিন নৌবাহিনী।

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত সোয়া ৯টায় লোহিত সাগরে ১৮টি ড্রোন, দুটি জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও একটি জাহাজ-বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হুতি বিদ্রোহীরা। লোহিত সাগরের দক্ষিণ দিকের আন্তর্জাতিক শিপিং লেন লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। ওই সময় সেখানে বহু বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল করছিল।

ওই হামলার তিনদিনের মাথায় শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ভোরে ইয়েমেনের কয়েকটি শহরে হুতি বিদ্রোহীদের অবস্থান ও ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। বিমান হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে।

হামলার পর হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় চলাচলকারী জাহাজের ওপর হুতিদের হামলার জবাবে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

ইয়েমেনে বিমান হামলায় আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া-

এই হামলার মধ্যদিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বড় যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। সেই আশঙ্কা থেকে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। মার্কিন জোটের এই হামলার জবাবে এখন পর্যন্ত কোনো হামলা চালায়নি হুতি। তবে হামলার পরপরই কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

হুতি প্রশাসনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আল-ইজি মার্কিন জোটের হামলাকে ‘বর্বর’ অভিহিত করে বলেছেন, এই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে চরম মূল্য দিতে হবে। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হুতি গোষ্ঠীর সমর্থক ফিলিস্তিনের হামাস, প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদ ও লেবাননের হিজবুল্লাহ।

এদিকে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় লোহিত সাগরে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইয়েমেনের সীমান্তপারের দেশ সৌদি আরব। বিমান হামলার ঘটনায় সংঘাত এড়ানোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তাদের মিত্র দেশগুলোর সংযম প্রদর্শনেরও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ‘গভীর উদ্বেগ’ নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান, জর্ডান ও ওমানও। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ফিলিস্তিনি জনগণ এবং গাজার অবরুদ্ধ নাগরিকদের ওপর প্রায় ১০০ দিন ধরে যুদ্ধাপরাধ করে আসছে জায়নবাদী ইসরায়েলি  শাসকরা। জায়নবাদীদের চলমান যুদ্ধাপরাধের সমর্থনেই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এই হামলা চালাচ্ছে।’

বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন: ‘এই হামলা ইয়েমেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইনেরও লঙ্ঘন।’ ইয়েমেনে মার্কিন জোটের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। বলেছে, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। তাদের এই হামলা ‘ভুলভাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবের সুবিধা নিয়েছে।’

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, "ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনের অ্যাংলো-স্যাক্সনদের মানসিক বিকৃতির আরেকটি উদাহরণ।’

‘মার্কিন জোটের হামলা হুতিদেরই উপকার করবে’-

বিশ্লেষকরা বলছেন, লোহিত সাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার প্রতিশোধ হিসেবে তাদের ওপর মার্কিন নেতৃত্বাধীন হামলায় নিজেদের মিশন থেকে একচুলও নড়বে না ইয়েমেনের হুতিরা। বরং প্রকৃতপক্ষে তারা আরও সাহসী হয়ে উঠতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, হুতিরা এখন একটি উদীয়মান আঞ্চলিক শক্তি মাত্র। গোষ্ঠীটি আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরাশক্তি তাদের মতো একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দাঁড়ালে তারা দুর্বল হওয়ার পরিবর্তে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এতে তাদের উপকারই হবে।

 

একুশে সংবাদ/ঢ.প.প্র/জাহা

Link copied!