বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও উন্নতি ঘটবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
তিনি বলেছেন, দুদেশের দীর্ঘ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধশালী ও প্রগতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের জনগণকে সহায়তা ও কাজ করতে ভারত সবসময় প্রস্তুত।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এমন কথা বলেন তিনি।
প্রণয় ভার্মা আরও বলেন, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আমার নিজের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানাতে এসেছি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করতে চাচ্ছি। আমি আশা করছি, তার নেতৃত্বে দুদেশের সম্পর্ক আরও সামনে এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, গত এক দশকে আমাদের সম্পর্কের যে উন্নতি হয়েছে এবং যেসব ইস্যুতে সাফল্য এসেছে, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। গত ১০ বছরে আমাদের দুই পক্ষের সম্পর্ক একটা ঘনিষ্ঠ অবস্থানে গেছে। আমাদের সম্পর্কের প্রতিফল কীভাবে জনকেন্দ্রিক হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের দুই দেশের সহযোগিতার অবস্থান থেকে দুই দেশের জনগণ কীভাবে উপকৃত হতে পারি, সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। এরপরও আমরা নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশেষত, আমরা কানেন্টিভিটি ইস্যুতে আলোচনা করেছি। বর্ডার হাট নিয়ে আলোচনা হয়েছে, বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতীয় রুপি এবং বাংলাদেশের টাকার বিনিময় সংক্রান্ত বাণিজ্য এটিকে সম্প্রসারণ করা। এটি ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে, এটাতে অল্প বিস্তর বাণিজ্য হয়েছে; এটিকে সম্প্রসারণ এবং জনপ্রিয় করা যায় সবার কাছে পরিচিত করা যায় এ নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়ানো নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে। চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের পণ্য বহন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ সংক্রান্ত বিষয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে আমাকে দিল্লি সফরের বিষয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা সময়টা দেখছি, কখন আমার জন্য এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য সুবিধাজনক হয়। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা চাচ্ছি প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর ভারত হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :