ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মধ্যস্ততাকারী কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল সানি জানিয়েছেন, গাজার ইসরাইলের সাথে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির ব্যাপরে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস `সাধারণভাবে ইতিবাচক` সাড়া দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করেন তিনি। তবে বিস্তারিত তথ্য না দিয়েই বলেন, প্রস্তাবটির ব্যাপারে হামাসের প্রতিক্রিয়া `সাধারণভাবে ইতিবাচক।`
কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল সানি আরও বলেন, আলোচনায় মধ্যস্ততকারীরা অনেক চ্যালেঞ্জের সামনে পড়ছেন। আমরা আশাবাদী, এটি আলোর মুখ দেখবে।
সংবাদ সম্মেলনে মার্কিণ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন বলেন, হামাস যে প্রস্তাবটিতে সাড়া দিয়েছে সেটি প্রস্তুত করেছে কাতার, মিসর এবং যুক্তরাষ্ট্র। আর ইসরাইলি কর্মকর্তাদের প্রস্তাবটির ব্যাপারে জানানো হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য সফররত ব্লিনকেন আরও জানান, তিনি বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ইসরাইল সফর করার সময় এ নিয়ে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করবেন।
এদিকে হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের নেতারা `ব্যাপকভিত্তিক যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি` পর্যালোচনা করেছে। এর মধ্যে ত্রাণ ও আশ্রয় নিশ্চিতকরণ, পুনর্গঠন, ১৭ বছরের ভয়াবহ অবরোধ প্রত্যাহার, `বন্দী বিনিময়` প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার মতো বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে রয়েছে।
হামাস ইতোপূর্বে জোরালোবে বলেছে, যেকোনো চুক্তিতে অবশ্যই যুদ্ধ সুনির্দিষ্টভাবে বন্ধ হতে হবে। কিন্তু ইসরাইল বলেছে, হামাসকে ধ্বংস করা ছাড়া তারা যুদ্ধ থামাবে না।
অন্যদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, চুক্তির ব্যাপারে হামাসের প্রতিক্রিয়া মধ্যস্ততা-প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত সকল পক্ষ পরীক্ষা করেছে।
আলোচনার সাথে সম্পৃক্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে অন্তত ৪০ দিনের যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়টি রয়েছে। এ সময় হামাসের হাতে আটক বেসামরিক লোকদের মুক্তি দেয়া হবে। পরের ধাপগুলোতে সৈন্য এবং লাশ হস্তান্তর করা হবে। একইসাথে ইসরাইলের হাতে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তিও দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এরপর গত নভেম্বরের যুদ্ধবিরতির সময় হামাস মোট ১১০ জনকে মুক্তি দিয়েছিল। আর ইসরাইল মুক্তি দিয়েছিল ২৪০ ফিলিস্তিনিকে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :