মিয়ানমার জান্তা সরকারের সঙ্গে সংঘাতের কারণ জানিয়েছে আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি। রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া ও নাগরিক অধিকার বাতিল করার কারণে দীর্ঘ দিনের জমা ক্ষোভ থেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি মংডুর উত্তর ডাংরিউই বর্ডার গার্ড স্টেশনে হামলা চালায় বলে জানিয়েছে আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আরাকান রোহিঙ্গা আর্মির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মিয়ানমারের আরকান অঞ্চলে রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন ধরে রাখাইন জনগোষ্ঠীসহ অন্যান্য উপজাতির সঙ্গে একত্রে বসবাস করে আসছে। বিভিন্ন আইনের অধীনে রোহিঙ্গাদের অবৈধ নাগরিক হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল, তাদের নাগরিক অধিকার বাতিল করা হয়েছিল এবং তাদের সমান অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।’
‘যেহেতু জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের সামরিক স্বৈরাশাসক সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করে যে, তারা শুধুমাত্র একটি বিপ্লবের মাধ্যমে তাদের হারানো অধিকার অর্জন করতে পার। এ জন্যে আরকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ) গঠন করে এবং প্রতিষ্ঠা করা হয়। যা রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব করে। এআরএ প্রতিষ্ঠার পর থেকে মংডুর উত্তরাঞ্চল জুড়ে সামরিক তৎপরতা চলিয়ে আসছে তারা।’
‘যদিও (এএ) এবং (এআরএ) এর মধ্যে সংঘর্ষ কম ছিল। গত ২ ফেব্রুয়ারি এআরএ মংডুর উত্তর ডাংরিউই কৌশলগত ক্যাম্প এবং তিন নম্বর এরিয়া বর্ডার গার্ড স্টেশনকে ঘিরে ফেলে। পরে ৪ তারিখে অভিযান চালায় এবং সফলভাবে সমস্ত অস্ত্র এবং গোলাবারুদ এবং সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এএ এবং এআরএ দ্বারা সফল আক্রমণের পরে জব্দ করা অস্ত্র লুট করে এবং সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে, বার্মার সরকার এবং সামরিক বাহিনী এখনও রোহিঙ্গাদের এখনও নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়।’
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :