পাকিস্তানের নির্বাচনে ইমরান খানের দল পিটিআই-এর কাছে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন জমিয়াত উলেমা-ই-ইসলামের (জেইউআই-এফ) প্রার্থী মুফতি কিফায়াত। সেই সঙ্গে পিএমএল-এন-এর সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরীফকেও পরাজয় স্বীকার করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জেইউআই। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
জাতীয় পরিষদ (এনএ-১৫) আসনে হেরে জেইউআই-এফ প্রার্থী মুফতি কিফায়াত ঘোষণা দেন, নির্বাচনের সময় কোনো অনিয়ম ও কারচুপি হয়নি। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী শাহজাদা গুস্তাশপের পক্ষে ভোট দিয়েছে। এ সময় দলটি পিএমএল-এন-এর সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফকে পরাজয় স্বীকার করে নেয়ার অনুরোধও জানিয়েছে। তবে পাকিস্তানের ১৬তম জাতীয় নির্বাচনে জেইউআই-এফ এখন পর্যন্ত তিন আসনে জয়ী হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্যে ১৩৩ আসনে জয়ের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে ইমরানের দল। ইতোমধ্যে দলটির সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে ১০২ আসনে জয়ী হয়েছেন। ফলে চূড়ান্ত লক্ষ্য থেকে ৩১ আসন দূরে অবস্থান করছে পিটিআই।
আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) ৭৩ আসনে জয়ী। অন্যদিকে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতারা তীর প্রতীক নিয়ে ৫৪ আসনে জয়ী হয়েছেন।
এদিকে, দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী সরকার গঠনে পিটিআইকে আমন্ত্রণ জানাবে বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলী খান। তিনি বলেন, জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন- তাই সংবিধান অনুযায়ী তাদের সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
কিন্তু আসন সংখ্যার দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বলছেন, তার দল পাকিস্তান মুসলিম লীগই (পিএমএল-এন) এই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় দল। তাই অন্যদেরও তার সঙ্গে যোগ দিয়ে সরকার গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এখনও নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ না হলেও প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, কোনও দলই এই নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজয় লাভ করেনি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :