বিতর্ক পিছুই ছাড়ছেই না গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক এজেন্সি ইউএনআরডাব্লিউএ। উপত্যকায় থাকা দফতরটির ঠিক নীচেই মিললো হামাসের বিশাল এক সুরঙ্গ। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ’এমনটাই দাবি করেছেন।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার, টানেলের ভেতরের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে আইডিএফ। প্রায় ৬৫ ফুট গভীর সুড়ঙ্গটির দৈর্ঘ্য ৭শ মিটার। কংক্রিট ও লোহার তৈরি টানেলে আছে বিদ্যুতও।
আইডিএফ’এর কর্মকর্তা ইডো বলেছেন, সুড়ঙ্গের ভেতরে একটি সার্ভিস রুম রয়েছে। সেই রুম থেকে পুরো টানেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। যে ধরনের প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি দেখা যাচ্ছ, তাতে বোঝা যায় ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হতো এখানে।
আইডিএফ বলছে, হামাসের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটগুলোর মধ্যে অন্যতম এই টানেল। বেশিরভাগ বড় বড় অপারেশনের পরিকল্পনা হতো এখান থেকেই।
আইডিএফ’এর আরেক কর্মকর্তা নিসিম বলেন, হামাসের যে কয়টি ইন্টেলিজেন্স ইউনিট রয়েছে; তারমাঝে এটি অন্যতম। টানেলটিতে ছিলো বেশ কিছু কম্পিউটার, অনেকগুলো ব্যাটারি ও সার্ভার।
সেনা কর্মকর্তারা বলেন, আইডিএফের হাত লেগেছে টানেলে, সেটি আগেই টের পেয়েছিলো হামাস। তাই, সুড়ঙ্গের সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে পালিয়েছে তারা।
ইডো আরও বলেন, ক্যাবলগুলো বেজমেন্টে চলে গেছে। কিন্তু এখন সেসব কাটা। হামাসের সদস্যরা টানেল ছেড়ে যাওয়ার সময় সব ক্যাবল কেটে রেখে গেছে। এই কাটা তারগুলো নীচে সুড়ঙ্গে চলে গেছিলো। কিন্তু কেন? আন্ডারগ্রাউন্ডে তো কোনো তারের প্রয়োজন নেই। সংস্থাটিতে ছদ্মবেশী হামাস সদস্যরা রয়েছে।
এদিকে, যুদ্ধ শুরুর ৫ দিনের মাথায় সদর দফতর পুরোপুরি খালি করে স্থান ত্যাগ করা হয়েছে- এমনটা জানায় ইউএনআরডাব্লিউএ। তাই, ইসরায়েলি দাবির বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
এর আগে, হামাসের সাড়া জাগানো ‘অপারেশন আল আকসা’য় সংস্থাটির বেশ কয়েকজন কর্মী সহযোগিতা করেছে। এমন অভিযোগ তোলে ইসরায়েল। এখনও মেলেনি যার সত্যতা।
একুশে সংবাদ/য.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :