সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংকিং খাতে পরিচালক নিয়োগের নিয়ম আরও কঠোর করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধনী) আইন-২০২৩ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের গঠন বিষয়ে নীতিমালা দিয়ে এই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপন বলা হয়, পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ২০ জন এবং স্বতন্ত্র পরিচালক হবে তিনজন। তবে ২০ এর নিচে পরিচালক হলে স্বতন্ত্র পরিচালক দুইজনের বেশি হতে পারবেন না। একইসঙ্গে কোনো একক পরিবার হতে তিনজনের বেশি সদস্য পরিচালক হতে পারবে না।
আর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ন্যূনতম বয়স ৩০ বছর হতে হবে। আর ১০ বছরের ব্যবস্থাপনা বা ব্যবসায়িক বা পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
ব্যাংকে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ব্যবসায়িক কার্যক্রম যথাযথ ও সুচারূভাবে সম্পন্ন করার জন্য উপযুক্ত ও পেশাগতভাবে দক্ষ ব্যক্তির সমন্বয়ে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হওয়া আবশ্যক। ব্যাংকের কর্মকাণ্ড প্রধানত আমানতকারীদের অর্থে পরিচালিত হয়। এক্ষেত্রে আমানতকারীদের স্বার্থরক্ষা করা অপরিহার্য।
এ কারণে ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব অপরাপর কোম্পানির তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০২৩ সালে ব্যাংক-কোম্পানি আইনে বেশি সংশোধনী আনা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আর এ সংশোধনের ফলে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের গঠন এবং পরিচালকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য, যোগ্যতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নতুনভাবে নীতিমালা প্রণয়নের আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে। ব্যাংক খাতে সুশাসনের নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে পরিচালনা পর্ষদের গঠন, পরিচালকের দায়িত্ব ও কর্তব্যসহ তদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে এ নীতিমালা অনুসরণের জন্য নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :