আল-আকসায় তারাবিহ পড়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল ফিলিস্তিনবাসীর মনে। কারণ, রমজান মাস শুরু হলেই আল-আকসায় মুসুল্লিদের ওপর ইসরায়েলি নির্যাতন-নীপিড়ন বেড়ে যায়। এবার ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে শঙ্কাটা আরও বেশি ছিল। প্রথম তারাবিহতে পরিস্থিতি কী হয়, সেদিকে নজর ছিল সবার। সব বাধাবিপত্তি, শঙ্কা আর ভয়-ডর পরোয়া না করে হাজারো মুসুল্লি তারাবিহর নামাজ আদায় করেন ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান মসজিদুল আকসায়। উপস্থিত ছিল নারী-শিশুরাও।
যথাসময় জামায়াতের সঙ্গে নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। শুধু মসজিদের ভেতরেই নয় বাইরেও মসজিদ চত্বর এলাকায় নামাজ পড়েন অনেকে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, আগ থেকেই নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লিদের বেশকিছু শর্ত দিয়ে দেওয়া হয়। তারমধ্যে সবচেয়ে বড় যে বিপত্তিটা বাধে তা হলো ৪০ বছরের নিচে কাউকে আল-আকসায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।
জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে বিবেচনা করা হয় ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে। মক্কা ও মদিনার মসজিদের মতো প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মুসলমান এই মসজিদ প্রাঙ্গণে আসেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে অন্তত ১৩ হাজার ‘সন্ত্রাসী’ ছিল। রোববার জার্মানির এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন তিনি। ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হত্যার বিষয়ে অবশ্য বিস্তারিত তথ্য জানাননি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর দেশটির সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় বিমান ও স্থল অভিযান শুরু করে। হামাসের ওই হামলায় ইসরায়েলের প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজায় ৩১ হাজার ৪৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে অঞ্চলটির হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১১৩ শিশুসহ ৪২৫ জন নিহত হয়েছেন।
চলমান এই সংঘাত ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট তৈরি করেছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে কমপক্ষে পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ, অর্থাৎ গাজার জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার বিপর্যয়মূলক পর্যায়ের মুখোমুখি হয়েছে।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :