সোমালিয়ার জলদস্যুরা আবার একটি জাহাজ ছিনতাই করার চেষ্টা করেছে। আর সেই চেষ্টা ভারতীয় নৌবাহিনী রুখে দিয়েছে বলে দাবি করেছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই।
ভারতের নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, মাল্টার পতাকাবাহী ছিনতাই হওয়া জাহাজ ব্যবহার করে ছিনতাইয়েরে চেষ্টা করেছিল জলদস্যুরা। ভারতীয় নৌবাহিনী সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে।
ভারতীয় নৌবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তাদর ভেরিফায়েড পেজে শেয়ার করা পোস্টে বলেছে, মাল্টার পতাকাবাহী ছিনতাই হওয়া জাহাজ এমভি রুয়েন ব্যবহার করে সোমালিয়ার জলদস্যুদের জাহাজ ছিনতাইয়ের একটি প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। তবে ভারত মহাসাগর বা এডেন উপসাগরের কোন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়েছে, তা উল্লেখ করেনি তারা।
টুইটে আরও বলা হয়, মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজটিকে ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। জলদস্যু কর্মকাণ্ড পরিচালনার উদ্দেশ্যে জাহাজটি গভীর সমুদ্রের দিকে যাচ্ছে জানতে পেরে ভারতীয় নৌবাহিনী সেটিকে বাধা দেয়।
এমভি রুয়েনকে বাধা দেয় উল্লেখ করে টুইটে বলেছে, ‘এই নৌযানকে ভারতীয় নৌবাহিনী ১৫ মার্চ বাধা দেয়। সেই জাহাজের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের সময় তারা ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে আত্মরক্ষা ও জলদস্যুতা মোকাবিলায় এবং জাহাজ ও নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জলদস্যুদের নিষ্ক্রিয় করতে ন্যূনতম শক্তি প্রয়োগ করা হয়।’
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভালফোর্স বা ইইউন্যাভফর অনুমান করছে, বাংলাদেশের পতাকাবাহী বাল্ক ক্যারিয়ার এমভি আবদুল্লাহর দখল নিতে অপর একটি ছিনতাই করা জাহাজ ব্যবহার করেছে সোমালি জলদস্যুরা।
গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) বেলা দেড়টায় মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। সর্বশেষ ২৩ নাবিকসহ জিম্মি জাহাজটি সোমালিয়ার গারাকাড উপকূলে নোঙর করা ছিল।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুক্রবার (১৫ মার্চ) জাহাজটিকে আরও প্রায় ৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে গদবজিরান উপকূল থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করা হয়।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :