মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির বাড়ি নিলামে তোলা হয়েছিল কিন্তু কেউ তা কিনতে রাজি হয়নি। বুধবার (২০ মার্চ) বাড়িটি নিলামে তোলা হয়।
বুধবার (২০ মার্চ) সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় আদালতের কর্মকর্তারা সু চির বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তিনবার বলেন ‘কেউ আছেন যিনি বাড়িটি কিনতে চান’; কিন্তু নিলাম বন্ধ হওয়ার আগপর্যন্ত সেখানে সাংবাদিক, কর্মকর্তারা আর পুলিশ ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি।
নিলামে সু চির বাড়িটির প্রারম্ভিক দাম ধরা হয়েছিল ৩১৫ বিলিয়ন কায়েত বা ৯০ কোটি ডলার। ইয়াঙ্গুনের ‘৫৪ ইউনিভার্সিটি অ্যাভিনিউ’র বাড়িটি সূ চির মতোই সবার কাছে পরিচিত। ইনয়ে হ্রদের পাশে সু চির এই বাড়িটি প্রায় ১ দশমিক ৯০ একর জমির ওপর। তবে বাড়িটির মালিকানা নিয়ে তার বড় ভাই অং সান ও এবং সু চির মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিল। আইনি লড়াইও ছিল।
এ বাড়িটিতেই বেড়ে উঠেছেন সু চি। ১৯৮৮ সালে এখান থেকেই গণতন্ত্রের পক্ষে প্রচারণা শুরু করেন সু চি। বাড়িটিকে তিনি তার পার্টি ‘দ্য ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’র সদর দফতর হিসেবে ব্যবহার করেছেন। ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনবার এ বাড়িতেই তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল।
সু চির বাবা জেনারেল অং সান মিয়ানমারের স্বাধীনতা আন্দোলনের নায়ক। তাকে ১৯৪৭ সালে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর বাড়িটি ১৯৫৩ সালে সু চির মাকে দেয়া হয়। ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে থাকার পর অসুস্থ মায়ের দেখাশোনা করতে বাড়িতে ফিরে আসেন সু চি।
২০০০ সালে তার ভাই অং সান ও পারিবারিক বাড়িটির মালিকানা দাবি করে মামলা করে। ২০১৬ সালে মামলার রায় হয়। রায়ে পুরো বাড়িটি দুই ভাইবোনের মধ্যে ভাগ করে দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন অং সান ও। তিনি বাড়িটি নিলামে বিক্রি এবং সেই টাকা দুজনের মধ্যে ভাগাভাগি করার দাবি জানান। কিন্তু সেই সময় আদালত তা মানেননি। কিন্তু অভ্যুত্থানের পর সু চির ভাইয়ের বিশেষ আপিল মঞ্জুর করেন আদালত।
সু চি এখন কারাগারে আটক আছেন। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :