দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে শুক্রবার (২২ মার্চ) ভারতজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে তার দল আম আদমি পার্টি (এএপি)। লোকসভা নির্বাচনের আগে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের ঘটনায় এমনিতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনৈতিক অঙ্গন। আর এএপির বিক্ষোভের ডাকে নড়েচড়ে বসেছে সবাই, সতর্ক অবস্থান নিয়েছে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে বিক্ষোভের ডাক দেন দলটির নেতা গোপাল রাই। মদনীতি কেলেঙ্কারিতে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গোপাল রাই বলেন, বিজেপি এজেন্সিকে পাঠিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করিয়েছে। এটা গণতন্ত্রের হত্যা। এই গ্রেফতারির প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামব। এই প্রতিবাদের মঞ্চটা হবে খোলা। যারা একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে, তাদের সবাইকে স্বাগত।
এদিকে কংগ্রেস ইতোমধ্যেই ‘ইন্ডিয়া’জোটের সদস্য দলগুলোর সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আম আদমি নেত্রী অতিশি।
কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের পর মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে রাহুল গান্ধী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ভীত স্বৈরাচার শাসক, মৃত গণতন্ত্র দেখতে চায়। সংবাদমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানকে কব্জা করা, রাজনৈতিক দলগুলোকে ভেঙে দেয়া, করপোরেট সংস্থা থেকে টাকা তোলা, প্রধান বিরোধী দলের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়াও অসুর শক্তির জন্য কম ছিল। তাই এবার নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারিও সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইন্ডিয়া জোট এর জবাব দেবে।
এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেজরিওয়াল গ্রেফতার হলেন। তবে দিল্লির মন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেত্রী অতিশি বলেছেন, গ্রেফতার হলেও কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই থাকবেন।
উল্লেখ্য, মদনীতি মামলায় সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেজরিওয়ালের বাসভবনে অভিযান চালায় ইডি। সেখান থেকেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।
একইদিনে দিল্লি হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছিলেন কেজরিওয়াল। আবগারি বা মদনীতি মামলায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিতে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। এরপরই অভিযান চালায় ইডি। একই মামলায় দিল্লির সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও এএপি সাংসদ সঞ্জয় সিংহকে আগেই গ্রেফতার করেছে ইডি।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :