সোমালিয়া উপকূলে দেশটির জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশের পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর অদূরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভাল ফোর্সের একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) রাত ১২টা ২০ মিনিটে ইইউ নেভাল ফোর্সের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
ইইউ নেভাল ফোর্সের এক্স হ্যান্ডেলে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের তিনটি স্থিরচিত্র এবং একটি ভিডিওচিত্রও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, ইইউ নেভাল ফোর্সের অপারেশন আটলান্টার মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটি বাংলাদেশের জিম্মি জাহাজের কয়েক নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে। যুদ্ধজাহাজ থেকে একটি হেলিকপ্টার জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের ওপর দিয়ে উড়ে যেতেও দেখা যায়।
গত ১২ মার্চ ২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। সর্বশেষ অবস্থান অনুযায়ী জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রাখা হয়েছে।
এমভি আবদুল্লাহর অদূরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজটি এমন সময়ে মোতায়েন করা হলো, যার এক দিন আগে দস্যুরা জিম্মি জাহাজটির মালিকপক্ষের সঙ্গে প্রথমবার যোগাযোগ করেছে। এরপর মালিকপক্ষ জাহাজসহ নাবিকদের মুক্ত করতে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতার কাজ শুরু করেছে।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করলেও এমভি আবদুল্লাহতে কোনো অভিযানের কথা জানায়নি। এর আগে ইইউ নেভাল ফোর্স উদ্ধার অভিযানের কথা বললেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মতি দেওয়া হয়নি। নাবিকদের নিরাপদে মুক্ত করতে সামরিক অভিযানে সম্মতি দিচ্ছে না এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ।
ইইউ নেভাল ফোর্স যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করলেও বাংলাদেশের সম্মতি ছাড়া বাংলাদেশি জাহাজে অভিযান চালানোর সুযোগ নেই। বাংলাদেশ সরকার ও জাহাজ মালিকপক্ষ এখন পর্যন্ত জিম্মি জাহাজে সামরিক অভিযানের সম্মতি দেয়নি। তবে ইইউ নেভাল ফোর্সের যুদ্ধজাহাজটি মোতায়েনের ফলে দস্যুদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে জিম্মি সমস্যার দ্রুত সমাধান হতে পারে।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :