সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। এর জবাবে এবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আইডিএফের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চলে অধিকৃত শেবা এলাকায় ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুন্তান টাইমস বলছে, জিবদিন ব্যারাকে শুক্রবার এই হামলা করা হয়। এ সময় ব্যারাকে এসে বৃষ্টির মতো পড়ে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র। এভাবে দুইবার হামলা করেছে হিজবুল্লাহ। এতে হতাহতের তথ্য জানা যায়নি।
আলেপ্পো প্রদেশে ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের মধ্যে ৫ জন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ছিলেন বলে জানা যায়। এর জবাবেই এবার হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরাসরি এই হামলা চালানো হয়েছিল।
সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজ বলছে, সীমান্তে একের পর এক ইসরায়েলি হামলার পর সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা।
সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
পর্যবেক্ষক সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ওই এলাকাতে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অস্ত্রের গুদাম রয়েছে। হিজবুল্লার অধীনে থাকা একটি রকেট ডিপোর কাছে এই হামলা চালানো হয়।
এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে সম্মত হয়নি। বিদেশি মিডিয়ার প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করবে না বলে জানিয়েছে তারা।
এর আগে সিরিয়ায় বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে একজন আইআরজিসির কমান্ডারসহ ইরানপন্থি অন্তত ৯ জন যোদ্ধা ছিলেন। গত মঙ্গলবার সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।
গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ। এছাড়া গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশই বাস্তুচ্যূত।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :