আটকে থাকা মিয়ানমারের জান্তা সেনাদের লক্ষ্য করে মিয়ানমার-থাই সীমান্তে যুদ্ধে লিপ্ত বিদ্রোহীরা। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের সঙ্গে মিয়ানমারের পূর্ব সীমান্তে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের ভয়ে প্রাণ নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়েছেন ২০০ বেসামরিক লোক। প্রত্যক্ষদর্শী, মিডিয়া এবং থাই সরকারের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
সীমান্তবর্তী প্রধান বাণিজ্য শহর মিয়াবতী দখল করে প্রতিরোধ যোদ্ধা এবং জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীরা। ঘটনাটি সামরিক জান্তার জন্য একটি বড় ধরনের ধাক্কা ছিল। এই ঘটনার পর থাই-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী একটি ক্রসিং সেতুতে আশ্রয় নেন প্রায় ২০০ জান্তা সেনা। তাদের লক্ষ্য করেই শনিবারের এই হামলার পরিচালনা করে বিদ্রোহীরা।
তিন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, শুক্রবার গভীর রাত থেকে একটি কৌশলগত সেতুর কাছে বিস্ফোরণ এবং ভারী মেশিনগানের গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন তারা। এই শব্দ শনিবার ভোর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
বেশ কয়েকটি থাই মিডিয়া জানিয়েছে, তাৎক্ষণিক আশ্রয়ের আশায় সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে গেছেন প্রায় ২০০ মানুষ।
থাইল্যান্ডের এনবিটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ করা একটি পোস্টে বলেছে, জান্তা সেনাদের লক্ষ্য করে প্রতিরোধ বাহিনী ৪০ মিলিমিটার মেশিনগান ব্যবহার করেছে এবং ড্রোন ব্যবহার করে ২০টি বোমা ফেলেছে। তাদের লক্ষ্যবস্তু হওয়া জান্তা সেনারা ৫ এপ্রিলে থেকে মিয়াবতী এবং সেনা পোস্টে সম্মিলিত বিদ্রোহী হামলা থেকে বাচতে সীমান্তবর্তী একটি সেতু ক্রসিংয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানে আনুমানিক ২০০ জান্তা সেনা আশ্রয় নিয়েছেন।
সীমান্তের এই অস্থিরতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার কথা বলেছেন থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন। প্রয়োজনে তার দেশ মানবিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ/বা.ট্রি/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :