মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদে প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা মাহাথির মোহাম্মদকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন এমএসিসির প্রধান নির্বাহী ও শীর্ষ কমিশনার আজম বাকি। মাহাথিরের দুই ছেলে মিরজান এবং মোখজানির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে মালয়েশিয়ারি দুর্নীতি প্রতিরোধ সংস্থা এমএসিসি। তদন্তের অংশ হিসেবেই মাহাথিরকে জেরা করা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল রাজধানী কুয়ালালামপুরে এক ব্রিফিংয়ে আজম বলেন, মিরজান এবং মোখজানির বিরুদ্ধে অফশোর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে দু’ভাইকে তাদের সম্পদের বিবরণী জমা দিতে নোটিসও দিয়েছে এমএসিসি।
মাহাথির নিজে ছেলেদের সঙ্গে অর্থপাচারে সঙ্গে মাহাথিরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না— সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে সরাসরি তার জবাব না দিয়ে এমএসিসির শীর্ষ কমিশনার বলেন, ‘অভিযোগটি এখনও তদন্তাধীন। তদন্ত শেষ হলে এবং উপযুক্ত সময় এলেই আমরা এ সম্পর্কে বিশদ তথ্য দিতে পারব।’
১৯২৫ সালে মালয়েশিয়ার কেদাহ প্রদেশের আলোর সেতার এলাকায় জন্ম নেওয়া মাহাথির মোহাম্মদ পড়াশোনা শেষে চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত এই পেশা ধরে রেখেছিলেন তিনি।
চিকিৎসা পেশায় থাকা অবস্থাতেই মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড মালয়েস ন্যাশনাল অর্গানইজেশনে (ইউএমনএনও) যোগ দিয়ে পার্লামেন্ট সদস্য হন ১৯৬৪ সালে। তারপর ১৯৭৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে শিক্ষামন্ত্রী, এবং ১৯৭৬ সালে দেশের উপ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।
১৯৮১ সালে প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন মাহাথির মোহাম্মদ। টানা ২২ বছর এই পদে আসীন থাকার পর ২০০৩ সালে স্বেচ্ছায় রাজনীতি থেকে অবসর নেন তিনি।
তারপর জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে ফের ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হন তিনি এবং এই পদে থাকেন ২০২০ সাল পর্যন্ত।
মাহাথির মোহাম্মদকে বলা হয় আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি। শুধু মালয়েশিয়ারই নয়, এশিয়ায় সবচেয়ে দীর্ঘসময় গণতান্ত্রিকভাবে দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ডটিও এখন পর্যন্ত রয়েছে তার দখলে। সূত্র : রয়টার্স
একুশে সংবাদ/ঢা.পো./এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :