গরুর পাস্তুরিত দুধে প্রাণঘাতী বার্ড ফ্লু ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। এতে করে এই ভাইরাস মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে মানুষের জন্য ঝুঁকির মাত্রা খুব সামান্য।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশটির খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশজুড়ে জাতীয় সমীক্ষা চলাকালীন আক্রান্ত গোবাদিপশুর প্রক্রিয়াজাত দুধ নিয়ে গবেষণার সময় গরুর দুধে ভাইরাসটি সয়ংক্রিয় অবস্থায় না পেলেও এর অবশিষ্টাংশ খুঁজে পান তারা।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গবাদিপশুর মধ্যে হাইলি প্যাথোজেনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (এইচপিএআই) বা বার্ড ফ্লু ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত গবাদিপশুর সংস্পর্শে আসার মধ্য দিয়ে এক ব্যক্তিও আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তার উপসর্গগুলো অনেকটা মৃদু।
এইচপিএআই-এর প্রাণঘাতী এইচ৫এন১ ধরনে আক্রান্ত হয়ে লাখ লাখ হাঁস-মুরগি মারা গেলেও, আক্রান্ত গরুকে খুব বেশি অসুস্থ হতে দেখা যায়নি।
পাস্তুরিত দুধের নমুনাগুলো নিয়ে একটি কোয়ান্টিটেটিভ পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (কিউপিসিআর) পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, পাস্তুরিতকরণ প্রক্রিয়ার সময় উত্তাপে ভাইরাসটি নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। নমুনায় প্যাথোজেনের জেনেটিক উপাদানের অবশিষ্টাংশ শনাক্ত হয়েছে শুধু।
১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম বার্ড ফ্লু এ বা এইচফাইভএন১ ভাইরাস শনাক্ত হয়। তবে ২০২০ সাল থেকে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত পাখির সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। তখন থেকে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বাড়তে দেখা গেছে। সেই বছর মার্চ মাসে গরু ও ছাগলও এ তালিকায় যুক্ত হয়। এতে বিশেষজ্ঞরা হতবাক হন। কারণ, এর আগে পর্যন্ত পশুরা এ ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হতে দেখা যায়নি।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :