পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দেওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও কর্মচারীর চাকরিকে অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিলের আদেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্ট। সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কোনো স্থগিতাদেশ দেননি সুপ্রিম কোর্ট। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
সোমবার ২৯ এপ্রিল ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়। ফলে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাঁরা যোগ্য প্রার্থীদের যাচাই করে চাকরিতে বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন।
২০১৬ সালে চাকরির জন্য ৩০ লাখ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার ঘুষের বিনিময়ে ও প্রার্থীদের উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট জাল করে চারটি স্তরে চাকরি দেয়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক বা শিক্ষিকা এবং গ্রুপ সি ও ডি শ্রেণিভুক্ত আবেদনকারীদের মধ্যে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়োগপ্রক্রিয়া ছিল সম্পূর্ণ জাল–জালিয়াতিতে ভরা।
অভিযোগ আছে, লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে এই চাকরি বিক্রি করেন রাজ্যের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তা ও তৃণমূলের নেতারা। ফলে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে যাঁরা মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন, তাঁদের বঞ্চিত করে চাকরি দেওয়া হয় ঘুষের বিনিময়ে। এরই প্রতিবাদে মামলা শুরু হয় কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বেশ কিছু অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি বাতিলও করেন।
একুশে সংবাদ/প্র. আ./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :