এবার অস্ট্রেলিয়ায় ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর দেশটির শীর্ষ একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুক্রবার (৩ মে) বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক বিক্ষোভকারীরা অংশ নেয়। বিক্ষোভ থেকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলের সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানানো হয়। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা এই বিক্ষোভ করেন।
গত সপ্তাহ থেকেই ফিলিস্তিনপন্থীরা সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হলের বাইরে জড়ো হতে শুরু করেন। এটি অস্ট্রেলিয়ার বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়া মেলবোর্ন, ক্যানবেরা এবং অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরগুলোতে একই ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
যদিও মার্কিন পুলিশ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। অনেককে গ্রেপ্তারও করেছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ এ ধরনের মারমুখী কোনো অবস্থানে যায়নি। শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই বিক্ষোভে প্রায় ৩০০ জনের অধিক বিক্ষোভকারী অংশ নেয়। এর মধ্যে ৩৯ বছর বয়সী ম্যাট তার দুই বছরের ছেলেকে কাঁধে নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শুধু ছাত্রসমাজই বিরোধিতা করছে না। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, গাজায় কী হচ্ছে সেটা আমরা দেখছি। তাই মানবতার জায়গা থেকে সবার এই বিক্ষোভে অংশ নেয়া উচিত।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভের সময় তাদের কাছ থেকে শত মিটার দূরে নিরাপত্তাকর্মীরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় অনেকে ইসরায়েলি এবং অস্ট্রেলিয়ার পতাকার নিচে এসে বলতে থাকেন, এ বিক্ষোভের ফলে ইহুদি শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অনিরাপদবোধ করবে।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মার্ক স্কট স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা চাইলে ক্যাম্পাসের মধ্যেই অবস্থান করতে পারে। কারণ, তারা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের মতো সহিংস পথ বেঁচে নেয়নি।
একুশে সংবাদ/চ.ট/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :