পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভর্তুকিবিরোধী তদন্ত, গুপ্তচরবৃত্তি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে চীনের একচেটিয়া সমর্থনের ফলে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনার মধ্যেই আগামী সপ্তাহে ফ্রান্স, হাঙ্গেরি ও সার্বিয়া যাবেন তিনি। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে শনিবার ৪ এপ্রিল এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান।
আগামী সোমবার প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে সাক্ষাৎ করবেন চীনের প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে দীর্ঘদিন ধরেই শি জিনপিংকে অনুরোধ জানিয়ে আসছেন ম্যাক্রোঁ। একই দিন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েনের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি।
চীনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা জার্মান থিঙ্কট্যাঙ্ক কোম্পানি মেরিক্সের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক পরিচালক আবিগায়েল ভ্যাসেলিয়ার জানান, চীনের চাওয়া বেশ পরিষ্কার। তার মতে, ইইউয়ের ভর্তুকিবিরোধী তদন্তের বিরুদ্ধে লবিং এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীলের বিষয়ে মনোযোগ দিতেই শি জিনপিং-এর এই সফর।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে চীন যে বৈদ্যুতিক কার তৈরি করেছে এবং তাতে রাষ্ট্রের ভর্তুকি রয়েছে, তার তদন্ত করছে ইইউ। এছাড়া ইউরোপের বাজারে চীনা পণ্যের নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ রয়েছে। আর এই বিধিনিষেধ বেশিদিন বহন করা চীনের পক্ষে সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ভ্যাসেলিয়ার। এছাড়া সম্প্রতি ইউরোপের দেশগুলোতে গুপ্তচরবৃত্তি বাড়ানোর অভিযোগ রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে।
এসব কারণে শি জিনপিং-এর ইউরোপ সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। প্যারিস ভ্রমণ শেষে, ইউরোপে চীনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সাথেও দেখা করবেন শি জিনপিং। এরপর তিনি যাবেন সার্বিয়ায়।
একুশে সংবাদ/বা. ট্রি/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :