পশ্চিমবঙ্গজুড়ে মহাসমারোহে উদযাপিত হলো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী। বুধবার ৮ মে শান্তিনিকেতনের গৌড় প্রাঙ্গণে পঁচিশে বৈশাখের ঐতিহ্য মেনে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সকাল থেকেই বিশ্বভারতীর রবীন্দ্র ভবনে কবিকণ্ঠে শোনানো হয় গান। পঁচিশে বৈশাখ উপলক্ষে শান্তিনিকেতনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যসহ বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা।
শুধু শান্তিনিকেতনেই নয়, কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে উদযাপন করা হয়েছে পঁচিশে বৈশাখ। কলকাতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জোড়াসাঁকোর বাড়িতে সকাল থেকেই চলে নানা অনুষ্ঠান। নৃত্য, আবৃত্তি, সমবেত সংগীত ছাড়াও একক রবীন্দ্রসংগীতের মধ্যে দিয়ে উদযাপন করা হয় দিনটি।
সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রভাতফেরিসহকারে রবি ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উদযাপন করেছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন।
পঁচিশে বৈশাখ উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী রাজ্যের সচিবালয় নবান্নে কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ-কালের গণ্ডি পেরিয়ে আজও আমাদের আনন্দ-বেদনায়, আশা- নিরশায়, সংকট-সাফল্যে, তিনিই পরম আত্মীয়।
রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম এক্সে কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, রবীন্দ্রনাথের সহিষ্ণু প্রজ্ঞা এবং প্রতিভা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রাণিত ও আলোকিত করতে থাকবে।
একুশে সংবাদ/ জা.নি./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :