বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, আফগানিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১০ মে) আফগানিস্তানের বাঘলান, তাখার ও বাদাকাশানের পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘর ও হেরাত প্রদেশে ভারী বৃষ্টি হয়েছে।
এতে নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। শনিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন, ধ্বংসস্তূপে ভরা রাস্তাঘাট ও কাদার মধ্য থেকে স্থানীয় লোকদের উদ্ধার করতে দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে তালেবান সরকার দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে একটি উত্তরাঞ্চলের বাঘলান প্রদেশ। এখানে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। এ এক প্রদেশেই তিন শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
জাতিসংঘের স্থানীয় কার্যালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত বাঘলান প্রদেশে ৩১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২ হাজার ১১টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ২ হাজার ৮০০টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাঘলান প্রদেশে ১৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, অনেকেই এখন নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে জাতিসংঘের অভিবাসনবিষয়ক সংস্থার (আইওএম) তথ্যানুযায়ী, বাঘলান প্রদেশে ২১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর আল জাজিরা, রয়টার্স
গত মাসের মাঝামাঝিতেও দেশটির ১০টি প্রদেশে বন্যায় প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :