যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর হিউস্টনে শক্তিশালী ঝড় আঘাত হেনেছে। এতে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। গাছপালা ও বিদ্যুতের লাইন উপড়ে এবং বজ্রপাতে বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। ঝড়ে এ অঞ্চলের পাঁচ লক্ষাধিক বাড়ি-ঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতের এ ঝড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েক সপ্তাহ বিদ্যুৎহীন থাকতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।
ঝড়ের পর উপসাগরীয় উপকূল অঞ্চলে বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে ঝড়টি প্রতিবেশী লুইসিয়ানা অঙ্গরাজ্যে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা।
ঝড়ের পর গতকাল শুক্রবার কর্তৃপক্ষ জানায়, শক্তিশালী এ ঝড়ে বজ্রপাতে ৮৫ বছর বয়সী এক নারী, বৈদ্যুতিক খুঁটি সরাতে গিয়ে ৫৭ বছর বয়সী একজন এবং অসুস্থ অবস্থায় অক্সিজেনের অভাবে আরও একজন মারা গেছে।
কর্মকর্তারা এর আগে বলেছিলেন, ঝড়ে গাছ পড়ে দুজন, ক্রেন পড়ে একজন এবং গাড়ির ওপর গাছ পড়ে একজনসহ মোট চারজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় সাতজনে।
গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে হ্যারিস কাউন্টির শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা টেক্সাসের বিচারক লিনা হিডালগো জানান, কমপক্ষে দুটি টর্নেডো বৃহস্পতিবার রাতে এই অঞ্চলে আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবারের ঝড়ে হিউস্টন শহরের বিভিন্ন ভবনের জানালার কাচ ভেঙে রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। জ্বলছে না সড়কের বাতিও। কর্তৃপক্ষ বলেছে, ঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৭৭ কিলোমিটার।
বিচারক হিডালগো বলেন, ১৯৮৩ সালে হারিকেন অ্যালিসিয়ার পর এই অঞ্চলে এমন গতিতে আর কোনো ঝড় হয়নি।
শুক্রবার হিউস্টনে মৃদু তাপমাত্রা ছিল, তবে আর্দ্রতার সঙ্গে সপ্তাহের শেষে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা।
ঝড়ের কারণে গতকাল শুক্রবার ওই অঞ্চলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রোববার (১৯ মে) পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
একুশে সংবাদ/এ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :