আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের নির্দেশ মানছে না ইসরায়েল। রাফায় অভিযান বন্ধে আইসিজের নির্দেশর পর পরই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গাজাজুড়ে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ নতুন করে আরও ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আইসিজে’র রায় ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই রাফা শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত শাবউরা ক্যাম্পে দফায় দফায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলের জঙ্গি বিমান।
হামলাস্থলের কাছাকাছি কুয়েত হাসপাতালের একজন কর্মী জানান, তুমুল বোমা হামলার কারণে উদ্ধারকর্মীরা অভিযানস্থলে পৌঁছাতে পারছেন না।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গণহত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই সঙ্গে মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, গাজায় ক্ষমতাসীন সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ধ্বংস করা এবং গোষ্ঠীটির কব্জায় থাকা জিম্মিদের উদ্ধারে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় হামাস-ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধ বাঁধার প্রায় দু’মাস পর গত ডিসেম্বরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আদালতে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। মামলার কার্যক্রমের মধ্যেই রাফায় অভিযান স্থগিতের আর্জি জানিয়ে আবেদন করেছিল বাদিপক্ষ।
সেই আবেদনের জবাবে শুক্রবার রাফায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিয়ে রায় দেন আন্তর্জাতিক আদালত।
একুশে সংবাদ/এক.টি/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :