ইসরাইলের অবিরত হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত গাজার রাফাহ। ক্রসিং বন্ধ থাকায় ত্রাণের খাবার পৌঁছাতে পারছে না সেখানে। রাফায় ইসরাইলের আক্রমণ বাড়ার পর থেকে ত্রাণ সরবরাহের জন্য ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে আটকে রয়েছে বেশ কিছু খাবার সরবরাহের ট্রাক। সেখানেই পঁচে যাচ্ছে গাজার ত্রাণের খাবার।
আন্তর্জাতিক আদালতের হামলা বন্ধের নির্দেশের পরও সেনাদের লাগাতার বোমা হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে সব কিছু। দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট। ফুরিয়ে গেছে খাবার পানি।
মিসরীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, মানবিক কার্যক্রম সামরিক কার্যকলাপের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ জন্য ইসরাইলকে ক্রসিংটি ফিলিস্তিনিদের হাতে ফিরিয়ে দেয়ার আহবান জানান।
জাতিসংঘের শীর্ষ আলাদত রাফায় হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু আইসিজের নির্দেশ উপেক্ষা করে রাফায় একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
মিসর ও গাজার মধ্যকার রাফা ক্রসিং খুলে দিতেও ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আইসিজে। রাফায় হামলা শুরুর জন্যে এ মাসে রাফা ক্রসিং বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল।
এদিকে ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি শনিবার বলেছেন, রোম ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘ সংস্থায় অর্থায়ন ফের শুরু করবে। ইতালি সরকার ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য মোট সাড়ে তিন কোটি ইউরোর একটি নতুন তহবিলের ব্যবস্থা করেছে। এর মধ্যে ৫০ লাখ ইউরো ইউএনআরডব্লিউএ-তে বরাদ্দ করা হবে।
একুশে সংবাদ/এক.টি/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :