ভারতীয় উপকূলে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। আগেই সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। এবার সেই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জেলা সদর তমলুকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে রুমটি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৫টি বিডিও অফিসেই খোলা হয়েছে দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর। চলছে বিশেষ নজরদারি। পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে নদী ও সমুদ্রের ধারে থাকা মানুষজনকে।
সমুদ্রে নামতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পর্যটক ও মৎস্যজীবীদের। কোলাঘাট, গেঁওখালি, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, খেজুরি, জুনপুট, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর, দিঘায় চলছে বিশেষ নজরদারি। পাশাপাশি উপকূল রক্ষীবাহিনীও বাড়তি নজর রেখেছে।
শনিবার ভোররাত থেকেই জেলার সব জায়গায় অল্প-বিস্তর শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সব মিলিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন।
এদিকে রেমালের জেরে আতঙ্কিত উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। সেখানকার বাসিন্দাদের আশঙ্কা বৃষ্টির জেরে সমুদ্রের বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। এর পাশাপাশি রেমাল সতর্কতায় হলদিয়া কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে রিমোট অপারেটিং স্টেশনের ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মাঝ সমুদ্র থেকে মাছ ধরার নৌকা এবং ট্রলারকে ফিরে আসার জন্য নির্দেশ জানানো হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল এই মুহূর্তে তা রয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে। রোববার মধ্যরাতে রেমাল স্থলভাগে আছড়ে পড়তে চলেছে। তার আগে ভারতের আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে সমুদ্রে ঝড়ের পরিস্থিতি।
রেমাল যেখানে রয়েছে, সেই অংশে সমুদ্রের ওপর তীব্র বেগে বাতাস বইছে। আলিপুর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। সাময়িক ভাবে তা পৌঁছে যাচ্ছে ১১০ কিলোমিটারেও। এর ফলে উত্তাল আকার নিয়েছে সমুদ্র।
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ থেকে ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে রেমাল। ক্যানিং থেকে তার দূরত্ব ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্বে।
একুশে সংবাদ/ঢা.পো./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :