ভারতের লোকসভা নির্বাচন শেষ হলো ১ জুন-২০২৪-এ। এ উপমহাদেশে বৃহৎ গণতান্ত্রিক এ দেশটির লোকসভার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৪ জুন। ১ জুন ভোটগ্রহণ শেষ হলেও চূড়ান্ত ও আনুষ্ঠানিক ফলাফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে ৪ জুন পর্যন্ত।
এদিকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের বুথফেরত জরিপ প্রকাশ করা শুরু হয়েছে। নির্বাচনবিষয়ক বিভিন্ন সংস্থার চালানো এসব জরিপের ফল দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ ও প্রচার করা হচ্ছে।
ভারতের লোকসভার মোট ৫৪৩টি আসনে নির্বাচন হয়েছে। সরকার গঠনে দল অথবা জোটকে অন্তত ২৭২টি আসনে জয় পেতে হবে। মোদির জোট এনডিএ ৩৫০টির বেশি আসন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১ জুন লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম ও শেষ দফার ভোটগ্রহণ হয়। ভোটগ্রহণ সমাপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বুথফেরত জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা শুরু হয়। এসব জরিপে বলা হয়েছে, এবারের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ে বেশি আসন জিততে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
রাজ্যটিতে লোকসভার ৪২টি আসন রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি ১৮টি আসনে জয় পায়। যা অনেকের কাছে বেশ বড় চমক ছিল। অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ২০টি আসন। আর বাকি দুটি আসন পেয়েছিল রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস।
কিন্তু গতবারের চেয়ে এবারের নির্বাচনে মমতার তৃণমূল কংগ্রেস আরও বড় ধাক্কা খেতে যাচ্ছে। অন্তত চারটি বুথ ফেরত জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, লোকসভার আসনের দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এবার বিজেপি সবচেয়ে বড় দল হতে যাচ্ছে।
জান কি বাতের জরিপ অনুযায়ী, বিজেপি ২১ থেকে ২৬টি আসনে জিতবে। আর তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে ১৬ থেকে ১৮টি আসনে। ইন্ডিয়া নিউজ-ডি-ডায়নামিকস বলেছে, বিজেপি ২১ আসনে আর তৃণমূল কংগ্রেস ১৯টি আসনে জয় পাবে।
অপরদিকে রিপাবলিক ভারত-মাত্রিজ বলেছে, বিজেপি ২১ থেকে ২৫টি আসনে জিতবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল পাবে ১৬ থেকে ২০টি আসন।
আর বাংলা নামের অপর একটি সংস্থা বলেছে, এবার পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি পাবে ২২টি আসন। তৃণমূল কংগ্রেস পাবে ১৮টি আসন।
অপরদিকে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস ২০১৯ সালের মতো দুটি আসন পেতে পারে বলে জানিয়েছে জরিপ চালানো সংস্থাগুলো। তবে কংগ্রেস আবার কোনো আসন নাও পেতে পারে বলে জানিয়েছে আর বাংলা।
তবে বুথ ফেরত জরিপ সবসময় সঠিক হয় না। ভারতের নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফলের যে ঘোষণা দেবে সেটি থেকে বুথ ফেরত জরিপের ফলাফলের মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকতে পারে।
যদিও বুথ ফেরত জরিপের সীমাবদ্ধতা আছে— তা সত্ত্বেও এটি মিডিয়া এবং সাধারণ মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। এ নিয়েই হয় সব ধরনের আলোচনা।
নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত— ভারতের নির্বাচন কমিশন বুথ ফেরত জরিপের ফলাফল প্রকাশ করতে দেয় না। কারণ আগে থেকেই যদি এ ধরনের জরিপ প্রকাশ করা হয় তাহলে এটি সাধারণ ভোটারদের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে।
একুশে সংবাদ/ঢা.পো./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :