ভারতেভোট গণনা শুরুর পরই দেশটির শেয়ার বাজারে ধস নামে। দেশটির স্টক মার্কেটে ৬ হাজারের বেশি পয়েন্ট পতন হয়েছে। খবর এনডিটিভি ও রয়টার্সের।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে (ভারতীয় সময় ৮টা) এই ভোট গণনা শুরু হয়। ইতিমধ্যে তিন ঘণ্টা পারও হয়ে গেছে। তবে এবারের নির্বাচনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-ও পেতে পারে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভারতের রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থাগুলোর শেয়ারে সবচেয়ে বেশি ধস নেমেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিফটি পিএসই সূচক ১৪ দশকিম ৭ শতাংশের মতো পতন হয়েছে। এ ছাড়া নিফটি পিএসইউ ব্যাংক সূচক ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। এমনকি এই সূচক এ যাবৎ কালের সবচেয়ে খারাপের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
মুম্বাইয়ের সামকো মিউচুয়াল ফান্ডের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা উমেশ কুমার মেহতা বলেছেন, বাজারে আজ পতন হয়েছে। সরকারি শাসন কাঠামোয় পরিবর্তনের আভাস থেকেই এমনটা হয়েছে। কেননা নির্বাচনী প্রাথমিক ফলাফল যে পথে অগ্রসর হচ্ছে তাতে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-ও পেতে পারে। যদিও গত ১০ বছর ধরে তারা এককভাবে ক্ষমতায় রয়েছে।
গত ১৬ মার্চ লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছিল ভারতের নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফার নির্বাচন হয় ১৯ এপ্রিল। সেই থেকে ১ জুন পর্যন্ত মোট সাত দফায় ভারতের ৫৪৩ লোকসভার আসনে ভোট নেয়া হয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রায় ৬৫ কোটি ভারতীয় ভোটার ভোট দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। মধ্যরাতের মধ্যে সম্পূর্ণ ফলাফল আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক ফল অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট ২৮৯টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ২৭২টি আসন হলেই ভারতে সরকার গঠন করা যায়। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত জোট ইন্ডিয়া ২২৩ এবং অন্যান্য প্রার্থীরা ৩১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
এ নির্বাচনে ইতিহাস গড়ে তৃতীয়বারের মতো নরেন্দ্র মোদি ভারতের ক্ষমতায় আসতে চাইছেন। বেশ কয়েকটি ভোট ফেরত জরিপে আবারও মোদির সরকার গঠনের কথা বলা হলেও হাল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :