‘আব কি বার, ৪০০ পার’ স্লোগান দিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এবার ৪শ’র বেশি আসনে জয় পাবে বলে আশা ছিল তার। কিন্তু মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল থেকে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পরই পাল্টে যেতে শুরু করে সকল সমীকরণ।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলছে, ভারতের বিভিন্ন কেন্দ্রে চূড়ান্ত ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকে সময় যত গড়াচ্ছে, এনডিএ ও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে ব্যবধান তত কমছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মোদির বিজেপির ভূমিধস জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এনডিএ ২৯০ আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে রয়েছে ২৩৪টি আসনে। অন্যান্য দল এগিয়ে ১৯টি আসনে।
ভোট গণনার প্রাথমিক এই ফল বলছে, দুই জোটের মধ্যে আসনের ব্যবধান মাত্র ৬০ থেকে ৭০টি। অর্থাৎ যে বিপুল ব্যবধানে ভূমিধস বিজয়ের আশা করেছিল বিজেপি, তা ঘটার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে এবারের ভোটে বিশ্লেষকদের নজরে ছিল প্রধানত ছয়টি বড় রাজ্য। কর্নাটক (২৮), মহারাষ্ট্র (৪৮), বিহার (৪০), উত্তর প্রদেশ (৮০), পশ্চিমবঙ্গ (৪২) ও অন্ধ্র প্রদেশ (২৫)। বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রাথমিক ফলে দেখা গেছে, একমাত্র অন্ধ্র প্রদেশ ছাড়া বিজেপি ও তার শরিকেরা ততটা ভালো ফল করতে পারেনি। অন্ধ্র প্রদেশের সম্ভাব্য ভাল ফলের প্রধান ভাগীদার তেলুগু দেশম। তারা রাজ্য বিধানসভাও সম্ভবত দখল করতে চলেছে।
কিন্তু বাকি পাঁচ রাজ্য, যা এবার ‘ব্যাটেল গ্রাউন্ড’ স্টেট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, সেখানে বিজেপির হাল বেশ খারাপ। সবচেয়ে বড় চমক দেখা গেছে উত্তর প্রদেশে। যে রাজ্য থেকে বিজেপি এবার ৭০–৭৫ আসন পাবে বলে আশা করছিল, সেখানে প্রাথমিক ফলে দেখা যাচ্ছে, ইন্ডিয়া জোট ৪৩ আসনে এগিয়ে রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭ আসনে এগিয়ে সমাজবাদী পার্টি, ৭টিতে কংগ্রেস।
গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছিল ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। শেষ হয়েছে ১ জুন। দেড় মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৬৪ কোটিরও বেশি ভোটার। ৫৪৩ আসনের মধ্য দিল্লিতে সরকার গঠনের জন্য দরকার ২৭২ আসন।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :