একুশে সংবাদ : জি-২০ সামিটের পর ফের একবার চাঁদের হাট বসতে চলেছে দিল্লির বুকে। চলতি সপ্তাহের শনিবারই তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন নরেন্দ্র মোদি। দেশজুড়ে গেরুয়া ঝড় না উঠলেও এই অনুষ্ঠানের জৌলুসে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। নমোর অভিষেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের। কারা আসছেন ভারতে?
চারশো পারের লক্ষ্যপূরণ হয়নি। মেলেনি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও। তবু জোটসঙ্গীদের সঙ্গে মিলে ফের সরকার গড়তে চলেছে বিজেপিই। টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর কুরশিতে বসবেন নরেন্দ্র মোদি। আর তাঁর এই সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতারা। তালিকায় রয়েছেন, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, মালদ্বীপের ‘চিনপন্থী’ প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোগবে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক-সহ আরও অনেকে। সকলকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন নমো।
বুধবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মোদি। তখনই মুজিবকন্যাকে ভারতের আসার আমন্ত্রণ জানান মোদি। জানা গিয়েছে, শুক্রবারই দিল্লিতে পা রাখবেন হাসিনা। এছাড়া শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে, নেপালের পুষ্পকমল দাহাল, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জুগুনাথ। এছাড়াও বিশেষ এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ গিয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়ার কাছেও।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এখনই ভারতে আসছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর বদলে আসতে পারেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। এখন হোয়াইট হাউসে আলোচনা চলছে তাঁরই। এদিকে মোদির ‘বন্ধু’ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আসছেন কি না সেবিষয়েও কিছু জানা যায়নি। তাঁকেও ফোনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদি।
তবে যে পাঁচ দেশের রাষ্ট্রনেতারা আসছেন তাঁদের সঙ্গে মোদি বৈঠকে বসবেন কি না তা এখনও জানা যায়নি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে ভারতের প্রভাব বা গুরুত্ব কতখানি তা সকলের জানা। বিভিন্ন সংঘাতে দিল্লি যেভাবে শান্তির পথ তুলে ধরেছে তা রাষ্ট্রসংঘেও প্রশংসিত হয়েছে। ফলে এখন কমবেশি সব দেশই ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে চাইছে। যার প্রমাণ মিলেছে মোদিকে পাঠানো বিভিন্ন দেশের শুভেচ্ছাবার্তায়। ফলে আগামিদিনে ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক সমীকরণ কী হয় সেদিকেই নজর সকলের।
আপনার মতামত লিখুন :