গাজায় অভিযান চালিয়ে হামাস অপহৃত চার জিম্মিকে উদ্ধারের পর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ অভিযানে তাদের হাতে বহু বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা। খবর বিবিসির।
উদ্ধার হওয়া জিম্মিরা হলেন-নোয়া আরগামানি (২৬), আলমোগ মেইর জান (২২), আন্দ্রেই কোজলভ (২৭) ও শ্লোমি জিভ (৪১)। শনিবার (৮ জুন) তাদের মুক্তি করা হয়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে তাদের অপহরণ করা হয়েছিল।
গাজার নুসেইরাত এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করে। পাশাপাশি স্থল অভিযানে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে তীব্র বন্দুকযুদ্ধের মুখোমুখি হয় তারা। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এই অভিযানকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ, জটিল মিশন’ বলে অভিহিত করেছে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেছেন, অভিযানে বহু মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজার আল-আকসা হাসপাতাল ও আল-আওদা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাছে অভিযানে নিহত ৭০ জনের মরদেহ রয়েছে। অন্যদিকে, হামাসের সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবির এবং এর আশপাশে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২১০ জন নিহত হয়েছে। যদিও আইডিএফ মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এ বিষয়ে বলেছেন, ইসরায়েল অনুমান করেছে, হতাহত ১০০ জনেরও কম।
ওই এলাকার ভিডিও ফুটেজে তীব্র বোমাবর্ষণের ধ্বংসযজ্ঞ দেখা যায়। সেখানকার হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা শিশুসহ এত হতাহত দেখে হতবাক। প্রত্যেককে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই।
জিম্মি উদ্ধারের খবরকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজসহ বিশ্ব নেতারা।
নুসেইরাতে সামরিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ বলেছেন, ইসরায়েল সংগঠনটির ওপর তাদের পছন্দ জোর করে চাপিয়ে দিতে পারবে না। তিনি বলেন, গোষ্ঠীটি ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হবে না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে প্রায় এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এখনও প্রায় ১১৬ জন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জিম্মি রয়েছে এবং ৪১ জন মারা গেছে বলে দাবি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর।
একুশে সংবাদ/এন.টি/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :