আজ ৯ জুন তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। NDA সংসদীয় দলের নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী মনোনীত তিনি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রাঙ্গণে নরেন্দ্র মোদিকে শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু-সহ ৭টি প্রতিবেশী দেশ ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রাষ্ট্রনেতারা এই মেগা ইভেন্টে যোগ দিয়েছেন।
শপথ অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাষ্ট্রপতি ভবন রাইসিনা হিলসে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশের সোয়াত এবং এনএসজির কমান্ডোদের অনুষ্ঠানস্থল ও কৌশলগত অবস্থানের চারপাশে মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ রাজধানীকে একটি ‘নো-ফ্লাই’ জোন ঘোষণা করেছে। এছাড়া আগামী কয়েক দিন ড্রোন, প্যারা গ্লাইডার, রিমোটচালিত উড়োজাহাজ এবং গ্যাসভর্তি বেলুন ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
হাসিনা ও মুইজ্জু ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্য নেতারা হলেন- শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, সেশেলসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফ, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার জুগনাউথ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
এদিন শপথ নেওয়ার মাধ্যমে ভারতের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হলেন মোদি। তার আগে কেবল জওহরলাল নেহেরু টানা তিনবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। ১৯৫২, ১৯৫৭ ও ১৯৬২ মেয়াদকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি।
ভারতের গত দুই নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও এবার ২৭২ আসন ছুঁতে পারেনি নরেন্দ্র মোদির দল। এর ফলে সরকার গড়তে জোট শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে তাদের। এর প্রভাব দেখা গেছে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও।
মিত্রশক্তি, বিশেষ করে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ও নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) একাধিক মন্ত্রণালয় পেতে যাচ্ছে মোদি সরকারে।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে এনডিএর জয়ের পর রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের উঠানে বিপুল সংখ্যক আমন্ত্রিতের সামনে শপথ নেন মোদি। ২৬ মে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।
২০১৯ সালের ৩০ মে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে একই স্থানে শপথ নেন মোদি। শপথবাক্য পাঠ করান তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এবারও সেই একই জায়গায় শপথ অনুষ্ঠান হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :