২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম-আয়ের দেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের সবুজ প্রবৃদ্ধির প্রয়োজন। বিশ্বব্যাংকের গ্রিন গ্রোথ ফ্রেমওয়ার্ক বাংলাদেশ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণের মতো বিষয়গুলো ছাড়াও জলবায়ু প্রতিক্রিয়াশীল সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়ন এবং নীতি কাঠামোগুলো সক্ষম করার মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম-আয়ের দেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হতে পারে। সেই সঙ্গে সবুজ প্রবৃদ্ধির পরিবেশগত সুরক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রেখে এটি প্রবৃদ্ধির একটি শক্তিশালী ও টেকসই চালিকাশক্তি হতে পারে।
ফ্রেমওয়ার্ক ফর ইমপ্লিমেন্টিং গ্রিন গ্রোথ ইন বাংলাদেশ- ২০২৩ শীর্ষক ওই রিপোর্টটি বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এতে ৯টি মূল নীতি নির্দেশনা প্রস্তাব করা হয়েছে যার মূল লক্ষ্য তিনটি। সেগুলো হলো- অতিমাত্রায় লক্ষ্য অর্জন করা, কার্যকর পরিবেশগত শাসন ও শক্তির স্থানান্তর। এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে নীতি নির্দেশাবলির মধ্যে পরিবেশগত শাসনকে শক্তিশালী করা, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি বাণিজ্যের প্রচার ছাড়াও সবুজ শিল্প ও মানব পুঁজিতে বিনিয়োগসহ জনস্বাস্থ্য ও কল্যাণের উন্নতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক গণমাধ্যমকে বলেন, পরিবেশের ক্ষতি করে যে কোনোকিছু টিকিয়ে রাখা যায় না তা বৈশ্বিক অভিজ্ঞতাই বলে দেয়। অন্যদিকে, সবুজ প্রবৃদ্ধি দারিদ্র্য হ্রাসে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর উপায় এটাও প্রমাণিত। এটি আমাদের পরিবেশকে রক্ষা করতে পারে, যা মূলত প্রবৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার সবুজ ও স্থিতিস্থাপক প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা বিশ্বব্যাংকের নতুন দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ভালোভাবে অনুরণিত। যেটি একটি বাসযোগ্য গ্রহে দারিদ্র্যের অবসান ঘটাতে পারবে।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :