জেল থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে তার ভেতর দিয়ে পালিয়েছিলেন স্কুল মিয়া আনসারী। তিনি মোহাম্মদ স্কুল নামেই বেশি পরিচিত। পালিয়ে তিনি বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছিলেন। এমনি করে কেটে গেছে ১৪ বছর। অবশেষে পুলিশি জালে ধরা পড়েছেন তিনি। একইভাবে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পালানো আরও সাত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে নেপাল পুলিশ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন কাঠমান্ডু পোস্ট। এতে বলা হয় মোহাম্মদ স্কুলকে শুক্রবার শিবরাজ মিউনিসিপ্যালিটি-৭ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার আসল বাড়ি ভারতের উত্তর প্রদেশের সিদ্ধার্থনগর জেলার চিলিয়া থানায়। এই তথ্য দিয়েছেন এসপি নাভরত্ন পাউডেল।
ডাকাতি মামলায় আদালত মোহাম্মদ স্কুলকে ৬ বছর ৫ মাস ৯ দিন জেল এবং সাড়ে চার লাখ রুপি জরিমানা করেছিল। কিন্তু ২০১০ সালের ১৬ই জানুয়ারি কপিলবাস্তু জেলা কারাগার থেকে তিনি ও অন্য আট বন্দি পালিয়ে যান। এ জন্য তারা তাদের সেলের ভেতরে একটি ২১ ফুট লম্বা সুড়ঙ্গ বা টানেল খোঁড়েন পূর্বদিকের ওয়াল বরাবর। রাতভর তারা আড়াই ফুট ব্যাসের ওই টানেল খোঁড়েন। সেই টানেল দিয়ে তারা পালিয়ে যান। এসপি পাউডেল বলেন, তারা মোহাম্মদ স্কুলের পালিয়ে থাকার বিষয়ে তথ্য পাওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা নেন। এর আগে তার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সুড়ঙ্গ খুঁড়ে তা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া একটি মারাত্মক অপরাধ। দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালানোর পর স্কুল মিয়া আনসারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসপি পাউডেলকে কপিলবাস্তুতে বদলি করার পর তিনি গত নয় মাস ধরে অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে যান। তারপর পলাতক ১২৬ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেন। এর মধ্যে মোহাম্মদ স্কুল অন্যতম।
একুশেসংবাদ/ মা.জ/ হা.কা
আপনার মতামত লিখুন :