গাজা যুদ্ধের পাশাপাশি সীমান্তবর্তী লেবাননেও আগ্রাসন চালানোর জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে এমন পরিকল্পনায় তেলআবিবের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে ওয়াশিংটন। এর প্রতিবাদে গাজা ও লেবাননের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ন্যাটোর ২য় বৃহত্তম সদস্য তুরস্ক। অন্যদিকে লেবাননে হামলা হলে তার চরম জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। এমন পরিস্থিতিতে লেবাননের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ন্যাটোর দ্বিতীয় বৃহত্তম সদস্য দেশ তুরস্ক।
তুর্কি গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ার মধ্যেই লেবাননের পাশে তুরস্ক থাকবে বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। এ ছাড়া বৈরুতকে সমর্থন দিতে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি। এর আগে, বুধবার তুর্কি সংসদে বক্তব্য দেওয়ার সময় এরদোয়ান জানান, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা যুদ্ধকে এই অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। গাজাকে ধ্বংস ও পুড়িয়ে ফেলার পর ইসরায়েল এখন লেবাননের দিকে নজর দিয়েছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে দিতে যে পরিকল্পনা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন করেছেন, তা পুরো অঞ্চলকে বড় বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে। তবে তুরস্ক লেবাননের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণ ও রাষ্ট্রের পাশে রয়েছে। এ সময় মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশকে লেবাননের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার আহ্বান জানান এরদোয়ান।
এর আগে, মে মাসে হামাস যোদ্ধারা শুধু ফিলিস্তিনকেই নয় বরং তুরস্ককেও রক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি জানান, গাজা উপত্যকায় স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে পরাজিত করার পর ইসরায়েল থেমে থাকবে না বরং তারা তুরস্ক দখলের পথে এগিয়ে আসবে। এরদোয়ান জানান, ইসরায়েল শুধু গাজায় বিজয়ী হয়ে থেমে যাবে এমনটা মনে করা যাবে না। যদি এখনই ইসরায়েলকে থামানো না যায়, তবে তারা আজ অথবা কাল আনাতোলিয়ার দিকে অগ্রসর হবে।
সম্প্রতি, তুরস্কের কাছাকাছি অবস্থান করা দেশ সাইপ্রাসে সামরিক মহড়া চালিয়েছে ইসরায়েল। এ নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। সাইপ্রাস ইসরায়েলের জন্য অপারেশন সেন্টারে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। তিনি বলেন, ভূমধ্যসাগরের এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি ইসরায়েলের আঞ্চলিক হঠকারিতায় নিজেকে জড়িয়ে ফেলছে। হাকান ফিদান বলেন, তুরস্ক যেহেতু এই অঞ্চলে অবস্থিত ফলে এই যুদ্ধ আঙ্কারাকেও স্পর্শ করবে।
একুশে সংবাদ/স/হা.কা
আপনার মতামত লিখুন :